পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরায় সরকার জমি দেওয়ার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
Published : 06 Mar 2017, 07:01 PM
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, কোনো সংকট তৈরি হবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় সকলকে মাথা পেতে নিতে হবে। আমরা এখন চিন্তা করছি। এরই মধ্যে তারা আবেদন করেছেন, উত্তরার কোনো একটা জায়গায় আমরা তাদেরকে জমি দেব। তারা ২-৩ বছরের মধ্যে তাদের ভবন তৈরি করবে।”
ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বেআইনিভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ-এর ১৬ তলা ভবন ভেঙে ফেলতে সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হওয়ার একদিন পর মন্ত্রী এ কথা বললেন।
প্রায় দুই দশক আগে নির্মিত বিজিএমইএ ভবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে ‘একটি ক্যান্সার’ বলেছিল হাই কোর্ট। ভবনটি অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএর লিভ টু আপিল গতবছর ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে যায়।
আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য বিজিএমইএ যে আবেদন করেছিল, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ রোববার শুনানি শেষে তাও খারিজ করে দেয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “অফিসটা চলে গেলেই বিজিএমইএর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে না। হয়ত তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা যদি কিছু সময় পায়, তাহলে ভাল। যদি না পায় তাহলে বাধ্য হয়ে চলে যেতে হবে। কারণ সর্বোচ্চ আদালতের রায়। সেটা আমাদের সকলকেই গ্রহণ করতে হবে।”
আদালতের রায়ে বলা হয়, সরকারের কাছ থেকে বিজিএমইএ কীভাবে জমি পেয়েছে- তা আদালতের দেখার বিষয় নয়। ওই ভবন হয়েছে জালাধার আইন লঙ্ঘন করে।
কার্যালয় সরিয়ে নিয়ে ভবনটি ভাঙতে কতদিন সময় লাগবে তা জানিয়ে বিজিএমইএকে একটি আবেদন করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি করে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আদেশ দেবে। তখনই জানা যাবে, কতদিনের মধ্যে ভাঙতে হবে ওই ভবন।