‘বিশেষ কারণে’ বন্ধ সিম পুনঃবিক্রি হবে না

আট বছরে বন্ধ হওয়া মোবাইল সিম পুনরায় বিক্রির যে সুযোগ অপারেটরগুলোকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ফৌজদারি মামলা সংশ্লিষ্ট বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কোনো বিশেষ কারণে বন্ধ হওয়া সিম থাকছে না।

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যাশন্ড সার্ভিসস বিভাগ থেকে সম্প্রতি এ নির্দেশনা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় অব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পুনরায় বিক্রি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে এই সব সিমে থাকা অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) বিটিআরসিতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দিতে বলেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এই সব সিমের ডেটাবেইস একই সময়ের মধ্যে বিটিআরসিতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অব্যবহৃত মোবাইল নম্বর পুনঃবিক্রি সংক্রান্ত এ নির্দেশনায় বলা হয়, “সঠিকভাবে পুনঃনিবন্ধন না হওয়ায় ২০০৮ সালে যে সব সিম বন্ধ করা হয়েছিল বা এখনো বন্ধ আছে এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির সিম বক্স ডিটেকশন সিস্টেম এবং মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেলফ রেগুলেশন প্রক্রিয়ায় বন্ধ বা নিক্রিয় সিম পুনঃবিক্রি করতে পারবে অপারেটররা।” 

নির্দেশনায় বলা হয়, “সিম বা রিমে যে অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) রয়েছে তার সুস্পষ্ট হিসাব এবং ডেটাবেইস অপারেটররা সংরক্ষণ করবে এবং এ অর্থ ও ডেটাবেইস নির্দেশনা জারির (৩১ জানুয়ারি) তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হল।

“এছাড়া কোনো ফৌজদারি মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকা অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কোন বিশেষ কারণে বন্ধ করা অবস্থায় কোন সিম বা রিম এ নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত হবে না।”

এ সংক্রান্ত অন্য যে নির্দেশনাই থাকুক না কেন, এই নির্দেশনা প্রাধান্য পাবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা সোয়া কোটির মতো মোবাইল সিম পুনরায় বিক্রি করতে অপারেটরগুলো সুযোগ পাচ্ছে বলে গত ১৫ জানুয়ারি জানিয়েছিল বিটিআরসি।

যদিও বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলে আসছেন, ২০০৮ থেকে সব অপারেটরের প্রায় ৩ কোটি সিম বিভিন্ন কারণে ব্লকড হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে এ পর্যন্ত অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহৃত প্রায় দেড় কোটির বেশি সিম ব্লকড হয়েছে। 

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি পুনঃবিক্রির অনুমোদনের সঙ্গে শর্ত হিসেবে এই সব সিম অ্যাকাউন্টে অব্যবহৃত ব্যালেন্স (অর্থ) বিটিআরসি অ্যাকাউন্টে জমা দিতে বললেও সে সময় নির্ধারিত কোন সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।

গত বছর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের পর আবার অনেক সিম বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, অপারেটরদের কোনো সিম ১৮ মাস অচল থাকলে তা আবার নতুন করে বিক্রি করা যাবে।

অপারেটরদের নম্বর নিয়ে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য এ সময় কমিয়ে ৬ মাস করার সিদ্ধান্ত হয় সম্প্রতি।

বিটিআরসির হিসাবে গত অক্টোবর মাস নাগাদ দেশে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম রয়েছে ১২ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৫ কোটি ৭৬ লাখই গ্রামীণফোনের।

সোয়া কোটির বেশি ‘ব্লকড’ সিম বিক্রির সুযোগ