ওষুদের মেধাস্বত্বে ছাড় পাওয়ায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এই শিল্প থেকে ‘বাড়তি সুবিধা’ পাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতা আব্দুল মুকতাদির।
Published : 21 Dec 2015, 06:12 PM
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের দশম সম্মেলনে শেষ করে ফেরার পর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশার কথা বলেন।
সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
এর ফলে বাংলাদেশ আরও ১৭ বছর মেধাস্বত্বের জন্য কোনো ব্যয় না করেই ওষুধ তৈরি ও কেনা-বেচা করতে পারবে।
মুকতাদির বলেন, “মেধাস্বত্বে ছাড় পাওয়া ওষুধ শিল্পের জন্য একটা যুগান্তকারী ঘটনা। এর ফলে পৃথিবীতে যত নতুন নতুন ওষুধ আবিষ্কার হোক না কেন, আমরা সমস্ত ওষুধ তৈরি করে সুলভ মূল্যে দিতে পারব।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তার আহ্বানে ওষুধ শিল্প নিয়ে কথা বলেন ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
হেপাটাইটিস সি এর ওষুধ আবিষ্কারের পর তা তৈরির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে অনেক রোগী রয়েছেন, যারা হেপাটাইটিস সি-এ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এদের একটি ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে। ৮৪টা ট্যাবলেট ৮৪ দিন খেতে হয়। এটা কয়েক মাস আগে আবিষ্কৃত হয়।”
“পৃথিবীতে এই ওষুধের একটার দাম ১ হাজার ডলার এবং এর চিকিৎসা করতে ৮৪ হাজার ডলার লাগত। সে জায়গায় বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এই ওষুধ নিয়ে এসেছে মাত্র ৮ ডলারে।”
এর ফলে মরণব্যাধি এই রোগের চিকিৎসা ব্যয় বাংলাদেশে কম হবে বলে জানান
“এভাবে ক্যান্সারের ওষুধ, হেপাটাইটিসের ওষুধ, আর্থাইটিসের ওষুধ, অ্যাজমার ওষুধ- এই রকম বহু ওষুধ আবিষ্কৃত হচ্ছে। আর আমাদের এখানে আসছে। যে ইনজেকশনের দাম ৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশের একটা কোম্পানি সেটা দিতে পারবে ৬০ হাজার টাকায়।”
তার আশা, সুলভ মূল্যে ওষুধ দিতে পারায় বিদেশ থেকেও রোগীরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবেন, যাকে মুকতাদির বলছেন ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’।
মুকতাদির বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশের হাসপাতালে আসবে, এক সপ্তাহ থাকবে, ডায়াগনোসিস করাবে, ডাক্তার দেখাবে, তার চিকিৎসার ওষুধ সঙ্গে নিয়ে সে চলে যেতে পারবে।”