কূপটি থেকে আনুমানিক ১০ বছরে মোট ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Published : 25 May 2024, 09:46 PM
কৈলাসটিলা-৮ নম্বর অনুসন্ধান কূপে গ্যাস পাওয়ার ঘোষণা আসার পরের দিন পুরনো আরেকটি কূপে পুনঃখননে গ্যাস পাওয়ার খবর দিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
চার দিন পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ১৪ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে শনিবার।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলম বিকালে এই কূপ থেকে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরুর প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন।
রাষ্ট্রীয় পেট্রোলিয়ম অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের বিজয়-১১ রিগ ব্যবহার করে গত ১৯ মার্চ ওয়ার্কওভার কাজ শুরু হয়। ২১ মে সফলভাবে কাজ শেষ হয়। এরপর মঙ্গলবার শুরু হয় পরীক্ষামূলক উৎপাদন।
কূপটি থেকে আনুমানিক ১০ বছরে মোট ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্যাসের বর্তমান বাজার মূল্য (প্রতি ঘনমিটারে গ্রাহক প্রান্তে ভরিত গড় ২২.৮৭ টাকা হিসেবে) ২ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। আর এই কূপ ওয়ার্কওভার করতে ৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
পেট্রোবাংলার অধীনে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড বা বিজিএফসিএল প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট প্রক্রিয়াজাতকারী একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির আওতায় মোট ৬টি গ্যাস ক্ষেত্রে রয়েছে। এগুলো হল তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, নরসিংদী, মেঘনা ও কামতা।
এর মধ্যে উৎপাদনে থাকা ৫টি গ্যাস ক্ষেত্রের ৩৯টি কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়।
তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা সাতটি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে চারটি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি তিনটির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে।