আসছে রোজার মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহের কোনো ধরনের সংকট হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী।
Published : 04 Feb 2024, 04:38 PM
দেশে বর্তমানে ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
আসছে রোজার মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহের কোনো সংকট হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার একটি অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী টিটু বাজার নিয়ে কথা বলছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “রমজানে নিত্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকবে৷ আমাদের এখন দরকার উৎপাদক ও আমদানিকারক থেকে হোলসেলার এবং রিটেইলারদের সাপ্লাই চেইন নিয়ে কাজ করা৷ এটা করতে পারলে আমাদের ভোক্তারা নায্যমূল্যে পণ্য পাবেন৷”
তিনি বলেন, “যারা নিত্যপণ্য আমদানি করে, সেসব আমদানিকারকদের আমরা ডেকেছি৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও মৎস্য মন্ত্রণালয়কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি সমন্বয় করে দিয়েছেন৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিছুই উৎপাদন, আমদানি বা রপ্তানি করে না বরং পলিসি নিয়ে কাজ করে৷ সেই পলিসিগুলো দিয়ে যদি সবার সমন্বয়ে ভোক্তাদের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়, তাহলে সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাইকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হবে৷”
রোজার মাসে নিত্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখাকে ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছেন প্রতিমন্ত্রী টিটু।
“রমজানকে ঘিরে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ বিশেষ করে চিনি ও তেলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে৷ এসব পণ্যে প্রায় ৯০ ভাগ আমদানি করতে হয়৷ আমরা আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছি৷ প্রধানমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন৷ আশা করছি অতিদ্রুত ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ এই শুল্ক একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসবে৷ এটা করতে পারলে আমদের আগামী রমজানে ভোক্তারা একটা সুবিধা পাবে৷
“ভারতের সঙ্গে আমাদের পেঁয়াজ এবং চিনি নিয়ে একটি প্রতিবন্ধকতা ছিল৷ ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে৷ রমজান উপলক্ষে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করা হবে৷”
চীন আরও বড় বিনিয়োগ করবে
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন, চায়নার সাথে সবচেয়ে বড় ট্রেড গ্যাপ৷ এই গ্যাপ পূরণ করতে আমাদের কাজ করতে হবে৷ আমরা যদি মনে করি আম বা সবজি রপ্তানি করে রাতারাতি ২২-২৩ বিলয়ন ডলারের রপ্তানি গ্যাপ পূরণ করে ফেলব, এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে৷
“যে পণ্যগুলো আমরা চায়না থেকে আমদানি করছি সেই আমদানি প্রতিস্থাপন যদি বাংলাদেশি শিল্পকারখানার সহায়তায় করতে পারি এবং এগুলো যদি রপ্তানি করতে পারি তাহলে এ গ্যাপটা দ্রুত কমে আসবে৷”
সামনে চীনের অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই চ্যালেঞ্জকে আমাদের বড় অপরচিুনিটি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে৷ ইউএস-চায়না বাণিজ্য সম্পর্ক যত কঠিন হবে চায়না বিনিয়োগও তত ডাইভারশন হবে৷ সামনে চায়না বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করবে৷ বাংলাদেশ সরকার ১০০টি ইকোনমিক জোন করেছে৷ সেসব জোনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টানতে হবে৷ এক্ষেত্রে বিডার ফরেন ডাইরেক্টরদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে৷”