“উন্নয়ন অভিযাত্রায় শহর ও গ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে; কাউকে পেছনে ফেলে রাখা চলবে না,” বলেন তিনি।
Published : 04 Nov 2023, 09:51 PM
মানুষের ছোট ছোট পুঁজিকে এক করে সমবায়ের ভিত্তিতে কাজ করলে সমাজের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, একজন মানুষের পক্ষে যা করার সম্ভব নয়- তা সমবায়ের মাধ্যমে দশজন মানুষ একত্রিত হয়ে অনায়াসে সম্ভব করতে পারে।
“ব্যক্তি মানুষের ছোট ছোট পুঁজিগুলো একত্রিত করে সমাজের অনেক কিছুরই পরিবর্তন করা সম্ভব।”
শনিবার আগারগাঁওয়ের সমবায় অধিদপ্তরে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মাধ্যমে পল্লী উন্নয়নে সমবায়ের বাস্তব প্রয়োগ আমাদের দেশে সফল হয়েছে। বার্ডের অনুসরণে দক্ষিণ কোরিয়াতেও সমবায়ের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফলতা পাওয়া গেছে।
“সমবায়কে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে আমরাও সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি- তাহলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল জানিয়ে তাজুল বলেন, এক টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনার ফলশ্রুতিতে গত সাড়ে ১৪ বছরে এই হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
সমবায় অধিদপ্তরের মাধ্যমে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “উন্নয়ন অভিযাত্রায় শহর ও গ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকবে। কাউকে পেছনে ফেলে রাখা চলবে না।”
সমবায় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ১ লাখ ৮৯ হাজার সমবায় সমিতি থাকার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সমবায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসে এ সমবায় সমিতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তি সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ কোটি লাখ।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মুনিমা হাফিজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।