আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।
Published : 05 Nov 2024, 12:07 AM
তিন বছর আগে বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানির কাছে আটকা পড়া ক্রেতা ও গ্রাহকের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে সরকার।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে অভিযোগ জানতে চাওয়া হয়েছে।
২০২০ সালে কোভিড মহামারী চলার সময় দেশে অনলাইনে পণ্যের কেনাকাটা ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। সেই সময় ইঅরেঞ্জ, ইভ্যালি, কিউকুম, আলেশামার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লোভনীয় সুলভমূল্যে পণ্য বিক্রির কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে আগাম হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
২০২১ সালে সরকার ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা প্রকাশ করার পর অনলাইনে লোভনীয় ব্যবসায় ছেদ পড়ে। পেমেন্ট গেটওয়েতে গ্রাহকের টাকা আটকে যায়, বিপরীতে গ্রাহকরাও আর পণ্য কিংবা টাকা ফেরত পাননি।
কেবল ইভ্যালির কাছে গ্রাহকরা হাজার কোটি টাকা পওনা হয়েছেন বলে সেই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শত শত কোটি টাকা লোপাট হলেও তার সঠিক হিসাব সরকার প্রকাশ করতে পারেনি।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল পেইমেনট গেটওয়েতে আটকে থাকা গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করে। গত ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৭২ জন গ্রাহক ৪১৮ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ২৮৫ টাকা ফেরত পেয়েছেন।
কিউকুম, আলেশামার্ট, দালাল প্লাস, বুম বুম, আনন্দবাজার, থলি ডটকম, ধামাকা, শ্রেষ্ঠ, আলিফওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ ডিল, সপেটিক, ৯৯ গ্লোবাল, আদিয়ান মার্ট, ইভ্যালি, সিরাজগঞ্জ শপ এসব অনলাইন মার্কেটের গ্রাহকরা বর্তমানে টাকা ফেরত পাচ্ছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অর্থ পাওনা রয়েছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামী ১৪ নভেম্বর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার জন্য ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হল।
যেসব গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য পাননি এবং বিক্রেতারা ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানকে পণ্য সরবরাহ করে বিক্রয়মূল্য বুঝে পাননি, তাদেরকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অনলাইন পোর্টালে (https://dncrp.portal.gov.bd) অভিযোগ করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিকট পাওনাদার গ্রাহক ও বিক্রেতা তালিকা দাখিল না করলে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অনুকূলে পর্যায়ক্রমে ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
যেসব গ্রাহক ও বিক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করবেন, তাদের অভিযোগগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তির মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা ব্যাংক হিসাবে জব্দকৃত টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যোগাযোগ করা হলে ডিজিটাল কমার্স সেলের পরিচালক সাঈদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার আগের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এই প্রক্রিয়া আরও জোরদার করতে গ্রাহকের কাছ থেকে নতুন করে অভিযোগ জানতে চাওয়া হয়েছে।”