ঘরে ঘরে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া এবং খাবার স্যালাইনের প্যাকেট সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে এসএমসির বড় ভূমিকা রয়েছে।
Published : 15 Jan 2025, 09:47 PM
বাংলাদেশে খাবার স্যালাইন ও গর্ভনিরোধক পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে দারুণ সাফল্য পাওয়া সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বুধবার এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে ‘পঞ্চাশের উচ্ছ্বাসে, একসাথে আগামীতে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এসএমসির ৫০ বছর পূর্তির লোগো উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা পপুলেশন সার্ভিসেস ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে ১৯৭৫ সালে এসএমসির যাত্রা শুরু হয়। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত নানা ধরনের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে এ কোম্পানি।
এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এসএমসির সাফল্যের মূলে রয়েছে সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টা, কৌশলগত পরিকল্পনা এবং সরকার ও উন্নয়ন অংশীজনদের সহযোগিতা।’’
ওরাল স্যালাইনের পাশাপাশি শিশু পুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট বিপণন করছে এসএমসি।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসএমসি সাফল্যের সাথে ৫০ বছরের পথচলা পূর্ণ করেছে। এই বিশেষ দিনটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের এবং আনন্দের। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এসএমসির নিরলস প্রচেষ্টার ফসল।’’
এজন্য বাংলাদেশ সরকার, ইউএসএআইডি, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শুভানুধ্যায়ী এবং এসএমসির পণ্য ও সেবাগ্রহীতাদের অভিবাদন জানান তিনি।
তছলিম উদ্দিন বলেন, “দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আশির দশকে ডায়রিয়া ছিল শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসএমসি নিজ ব্র্যান্ডের ওরস্যালাইন দেশজুড়ে সহজলভ্য করেছে। ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।”
এসএমসি এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির বলেছেন, “এসএমসি এন্টারপ্রাইজ নামে সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠনের উদ্দেশ্য ছিল সমাজের নারী, শিশু ও পরিবারের সবার জন্য একটি টেকসই জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা। স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি এসএমসি বিভিন্ন ধরণের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে।’’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসএমসি অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি লাভজনক কোম্পানি গঠন করা হয়। সেখান থেকে যে লাভ আসে, তা জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করা হয়।
তছলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এসএমসির জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু এসএমসির ওরাল স্যালাইন ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ পণ্য। বছরে ১৫০ কোটি প্যাকেট ওরাল স্যালাইনের বিক্রি করে এসএমসি,যা বহু মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।