কলকাতার সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেশি।
Published : 02 Sep 2024, 06:04 PM
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড–এনবিআর।
পাশাপাশি এ স্থলবন্দর দিয়ে আগের মতই সব ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ থাকছে বলে সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ভারত সীমান্তের এ শুল্ক স্টেশন দিয়ে এতদিন কেবল নির্দিষ্ট কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা যেত। কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব যে কোনো বন্দরের তুলনায় কম হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহ বেশি ছিল দেশের ব্যবসায়ীদের।
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এতদিন গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছড়া, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলক্লে, ব্যবহার্য কাঁচাতুলা, চাল, মসুর ডাল, কোয়ার্টজ, তাজা ফুল, খৈল, গমের ভুসি, ভুট্টা, চাউলের গুঁড়া, সয়াবিন কেক, শুঁটকি মাছ (প্যাকেটজাত ব্যতিত) আমদানি করা যেত।
পাশাপাশি হলুদ, জীবন্ত মাছ, হিমায়িত মাছ, পান, মেথি, মাছ, চিনি, মসলা, জিরা, মোটর পার্টস, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, রেডিও ও টিভি পার্টস, মার্বেল স্ল্যাব, তামাক ডাঁটা (বিড়ির কাঁচামাল), শুকনা তেঁতুল, ফিটকিরি, এলুমিনিয়াম এর টেবলওয়্যার ও কিচেনওয়্যার, ফিসফিড, আগরবাতি, জুতার সোল, শুকনা কুল, এডহেসিভ, ফ্লাই অ্যাশ, তাজা ও শুকনা ফলমূল, সকল প্রকার তাজা সবজি, শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ, ধনে, সকল প্রকার খৈল আমদানি করা যেত এ বন্দর দিয়ে।
এছাড়া ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, স্যান্ড স্টোন, মার্বেল চিপস, ডলোমাইট, ফ্লোগোফাইট, ট্যালক, পটাশ ফেলসপার, গ্রানুলেটেড, স্যাগ, সোডা পাউডার, তিল, সরিষা, রেডিমেড গার্মেন্টস, ইমিটেশন জুয়েলারি, সুপারি, হার্ডওয়্যার, গ্রানাইট স্ল্যাব, তুলা, সুতা, গাড়ির চ্যাসিস, প্রকল্পের যন্ত্রপাতি, কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ, কিসমিস, এলাচ, গোল মরিচ, লবঙ্গ, বিট লবণ, তেঁতুলের বিচি ও জিপসাম আমদানির সুযোগ ছিল ভোমরা বন্দর দিয়ে।