“এখন যে পণ্যমূল্য, তা খুব যে খারাপ সেটা বলা যাবে না। মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে”, বলেন তিনি।
Published : 01 Sep 2024, 08:42 PM
ব্যবসায়ীদেরকে পিচ্ছিল বাইন মাছের সঙ্গে তুলনা করে অর্থনীতি ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদেরকে ধরা কঠিন। তারা পিছলে যাচ্ছে।
তবে এখন থেকে তাদেরকে ধরা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তিনি।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোলট্রি খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
বাজারে বহুল আলোচিত ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে এক প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, “ব্যবসায়ীদের স্বভাব হয়ে গেছে, তারা একটু বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে সব সময়।
“কথায় আছে না, তারা ইল (বাইন) মাছের মত, ধরা কঠিন। পিছলে যাচ্ছে। তবে এখন থেকে এগুলো ধরা সম্ভব হবে।”
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে পণ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এখন যে পণ্যমূল্য, তা খুব যে খারাপ সেটা বলা যাবে না। মোটামুটি সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। এটাকে আরও সুখকর করা যায় কিনা সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ব্যবসায়ীদের উজ্জীবিত না করতে পারলে সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না বলেও মন্তব্য করেন সালেহ উদ্দিন। বলেন, “সে জন্য আমার প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। এর মধ্যে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে পোলট্রিখাতের ডিম মুরগি ও এর বাচ্চার দাম কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
“তারা জানিয়েছেন পোলট্রি উৎপাদন পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা আছে। তারপর বড় উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন এখন বাড়াবেন।”
মতবিনিময়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে উৎপাদন স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার পর্যায়ে রয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্যের দাম কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
বিপণন পর্যায়ে উৎপাদন খরচের বাহিরে অস্বাভাবিক মুনাফা করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না।"
ডিম মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া হবে কি না, এই প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, “বেশি সমস্যা হলে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করবে। ট্যারিফ কমিশন আছে, তাদের সহযোগিতা নিতে পারে।”
ডিজেলের দাম লিটারে ১ টাকা ২৫ পয়সা কমানোর কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি, এখন তেলের দাম কমেছে। আপনাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে। জিনিসপত্রের দাম নামতে হবে। বাংলাদেশের একবার দাম উঠলে আর নামে না, সেটা হবে না।”
আরও পড়ুন-