ঢাকার একটি হোটেলে মার্কিন কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
Published : 09 Nov 2023, 12:43 AM
জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ওমান ও কাতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির চুক্তি করেছে সরকার।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির চুক্তি সই হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, এক্সিলারেট এনার্জির সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট গ্যাস মার্কেটিংয়ের কাছ থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ০.৮৫ হতে এক এমটিপিএ এলএনজি আমদানির করবে সরকার। এক্সিলারেট ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বর্তমানে ৫০০ এম এমসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে এই এফএসআরইউকে ৫০০ এমএমসিএফডি থেকে বাড়িয়ে ৬০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত করা হবে।
পেট্টোবাংলার বোর্ড সচিব রুচিরা ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট র্যামন ওয়াংদি চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, গত তিন বছরে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশকে শুধু জ্বালানি খাতেই অতিরিক্ত ১৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো সুসংগঠিত করতে পারলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বলেন, জ্বালানির বহুমুখিকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎ থেকে ১১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের যথাযথ বিকাশের জন্য আগামী ১০ বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশাল বিনিয়োগের সুযোগ হবে। গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানে কাজেও ব্যাপক বিনিয়োগ আসবে। বিশ্বের নামীদামী কোম্পানিগুলোর আগ্রহ ব্যাপক।
দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এলএনজি আমদানি এবং রিগ্যাসিফিকেশনের মাধ্যমে গত ২০১৮ সালের অগাস্টে সর্বপ্রথম জাতীয় গ্যাস গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাস্ট্রদূত পিটার হাস, পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বক্তব্য রাখেন।