সৈয়দা জোবায়দা শিরিনের পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার হওয়ার গল্প।
Published : 13 Jul 2024, 01:49 PM
কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার-এর গ্র্যান্ড ফিনালে।
সবাইকে পিছে ফেলে বাংলাদেশের প্রথম পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার হয়েছেন সৈয়দা জোবায়দা শিরিন। আজকে আমরা আড্ডা দিবো জোবায়দার সাথে।
হ্যালো জোবায়দা! কেমন আছেন? দেশের প্রথম পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার অ্যান্ড ফেইস অব পন্ডস্ হয়ে কেমন লাগছে?
জোবায়দা: অনেক ভালো আছি। দেশের প্রথম পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার হওয়ার অনুভূতিটি অবশ্যই অসাধারণ। আমি বয়সে অনেক ছোট। কিন্তু সব সময়েই আমার মধ্যে একটা জেদ কাজ করতো ভালো কিছু করার, লাইফে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। আর আমি মনে করি এই স্পিরিটই আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে আজ এই পর্যায়ে আসার জন্য।
অবসর সময়গুলোতে পড়াশোনার পাশাপাশি আর কী করা হয়?
জোবায়দা: বতর্মানে আমি IUBAT-এ ‘Tourism and Hospitality Management’ নিয়ে পড়ছি। খুব শিগগিরই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করবো। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে আমি ঘুরতে খুব বেশি পছন্দ করি। আমার বড় বোনের হাত ধরেই ঘুরে বেড়িয়েছি দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত।
আপনি তো আগে থেকেই টিকটকে কনটেন্ট বানাতেন, বেশ ফলোয়ারও ছিল। পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার-এ কেনো রেজিস্ট্রেশন করলেন?
জোবায়দা: কনটেন্ট মেকিংয়ের প্রতি আমার বরাবরই ভালোলাগা ছিল। আমি জানতাম টিকটক থেকে যতটুকু অ্যাপ্রিসিয়েশন পেয়েছি তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পেতে পারি পন্ডস্-এর এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। আর বিশ্বাসও ছিল যে আমি একজন যোগ্য প্রতিযোগী। সেখান থেকেই নতুন একটা স্বপ্ন দেখার শুরু।
প্রায় ১৪০০০+ রেজিস্ট্রেশনকারীর ভেতর থেকে আপনি দেশের প্রথম স্কিনফ্লুয়েন্সার হয়েছেন। এই জার্নিটা কেমন ছিল?
জোবায়দা: এতজনের মধ্যে প্রথম হওয়ার অনুভূতিটা কিন্তু স্বপ্নের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। স্কিনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জার্নিটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটা পদে প্রমাণ করতে হয়েছে নিজেকে। কিন্তু কখনও বিশ্বাস হারাইনি।
পুরো জার্নিতে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মোমেন্ট কোনটা ছিল? যখন মনে হয়েছে আর পারবোনা হয়তো!
জোবায়দা: যখন দেশের নাম্বার ওয়ান কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সাথে নিজের আইডিয়া দিয়ে ভিডিও বানাতে বলেছিল। তখন সেরাদের মাঝে নিজেকে বেস্ট প্রমাণ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। কিন্তু সব ভয় ও সংশয় কাটিয়ে একটি অসাধারণ কনটেন্ট বানিয়েছিলাম আমার প্রিয় রাফসান দ্যা ছোটভাইয়ের সাথে। পরে হাউজলিডদের থেকেও প্রশংসিত হয়েছি সেজন্য।
পন্ডস্ স্কিনফ্লুয়েন্সার-এর জার্নিতে আপনার সবচেয়ে মেমোরেবল ঘটনা কোনটি?
জোবায়দা: স্কিনফ্লুয়েন্সার-এ আমার সবচেয়ে মেমোরেবল মোমেন্ট ছিল যেদিন ক্যাম্পে আমাদের ফ্যামিলি মেম্বাররা এসেছিল। আমি একদমই রেডি ছিলাম না সেই সারপ্রাইজের জন্য। প্রায় ১০ দিন পর আমার পরিবারের সাথে দেখা করার চান্স পেয়েছিলাম। খুবই ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন।
স্কিনকেয়ার নিয়ে প্যাশনেট হলেন কীভাবে?
জোবায়দা: আমি যেহেতু অনেক ট্র্যাভেল করি আর সেটা নিয়ে কনটেন্টও বানাই। তাই সেখান থেকেই নিজের ত্বকের প্রতি না চাইলেও একটা যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন থেকেই যায়। ঘুরে বেড়ানোর সাথে সাথে নিজের চেহারা ও ত্বকের পরিচর্যায়ে বেখেয়াল হইনি। এভাবেই আসলে স্কিনকেয়ার নিয়ে আমি প্যাশনেট হয়ে উঠেছি। এই প্যাশন থেকেই অডিয়েন্সের জন্য স্কিনকেয়ার রিলেটেড কনটেন্ট বানিয়ে আমি স্কিনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আপনি তো সাংহাই যাচ্ছেন POND’S Skin Institute-এ। কেমন এক্সাইটমেন্ট কাজ করছে?
জোবায়দা: আমি অনেক অনেক বেশি এক্সাইটেড। কারণ, প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে পাড়ি জমাবো তাও আবার পন্ডস্-এর সাথে। ছোট থেকে পন্ডস্-এর অ্যাডে অলওয়েজ তাদের স্কিন এক্সপার্টদের কথা শুনেছি ও দেখেছি। কিছুদিন পর আমি তাদের কাছ থেকে স্কিনকেয়ার নিয়ে বিশেষ ট্রেনিং নেয়ার সুযোগ পাবো। স্কিনকেয়ার রিলেটেড ইনগ্রিডিয়েন্ট নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবো। সো POND’S Skin Institute ভিজিট করতে পারা আমার জন্য আসলে লাইফটাইম একটা এক্সপেরিয়েন্স হয়ে থাকবে। আর আমি বিলিভ করি এই এক্সপেরিয়েন্সের মাধ্যমে নিজেকেও স্কিন এক্সপার্ট হিসেবে দক্ষ করে তুলতে পারবো।
আপনার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো জোবায়দা। আগামীর পথচলার জন্য শুভকামনা।
জোবায়দা: আমারও খুব ভালো লাগলো। আমি আবারও পন্ডস্ বাংলাদেশ-কে ধন্যবাদ দিতে চাই এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য। সবাই দোয়া করবেন।
ডিসক্লেইমার
সাক্ষাৎকারটি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে সরবরাহ করা। এই বিষয়ক কোনো তথ্যের দায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নয়।