Published : 08 May 2019, 06:04 PM
মেঘ জমে থাকা আকাশ। গত ৪ মে সকালে গোদনাইল এলাকা থেকে তোলা ছবি
গত ৩ মে থেকেই দেশের মানুষের মনে ছিল আতংক। ফণীর তাণ্ডবের কথা ভেবে দিন পার করে হয়ত নির্ঘুম রাত ভোর করেছিল অনেকেই।
পরদিন সকাল থেকে আগের দিনের মতো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বয়ে চলছিল বিরতিহীন ভাবে। বাতাসের গতিবেগ সামান্য বাড়লেই সবাই ভাবছিল ওই শুরু হলো ফণী।
দিনের মধ্যভাগেও মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি। গত ৪ মে নতুন বানানো নলখালি ব্রিজ থেকে তোলা ছবি
শুনেছি দেশের অনেক জায়গাতে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছিল। শহরে ফণীর ভয়ে অনেকে সন্তানকে স্কুলে পাঠাননি। কেউ আবার দৈনন্দিন কাজেকর্মে না গিয়ে পরিবারের সঙ্গেই ছিল। তবে যারা বাড়ির বাইরে গিয়েছিল তারা বৃষ্টিতে ভুগেছিল।
ফণীর দিন গোদনাইল এলাকার চিত্তরঞ্জন কটন মিলস পুকুরপাড়
শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ও ৩ মে রাত থেকেই তাদের মাছ ধরার নৌকা নদীর পাড়ে বেঁধে রেখেছিল। চোখ রেখেছিল টেলিভিশনের পর্দায় ফণীর সর্বশেষ খবরাখবর জানতে।
থেকেই নদীর পূর্বপাড় থেকে অনেক কর্মজীবী নদীর পশ্চিম পাড়ে এসে কাজকর্ম করে থাকে। অনেকেই গার্মেন্টসে চাকরি করে। ডিউটি শুরু হয় সকাল ৭টা-৮টা থেকে। অন্যদিনে এই সময় খেয়াঘাটে লেগে থাকে যাত্রীদের ভিড়। যারা কাজে যাওয়া এড়াতে পারেনি ঝড়ের দিনেও, তারা নদী পারাপারে সমস্যা পড়েছিল সেদিন।
গোদনাইল লক্ষ্মীনারায়ণ বাজারে ছিল না অন্যান্য দিনের মত ব্যস্ততা
চৌধুরী বাড়ি এলাকার প্রায় সব ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ দোকান বন্ধ করে রেখেছে। কাঁচাবাজারের তরকারি ব্যবসায়ীরাও। ৩ মে থেকেই আড়তে যাওয়া বন্ধ রেখেছিল তারা।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর দিন দুপুরে জনশূন্য গোদনাইল পানির কল এলাকা
গোদনাইল রসূলবাগ এলাকা থেকে তোলা
ফণীর আশংকায় অনেক গার্মেন্টস কর্মীকে বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি নিতে হয়েছিল। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের দিন কর্মী সংকট দেখা দিয়েছিল অনেক গার্মেন্টসে।
নারায়ণগঞ্জ টু চিটাগাং রোডে যান চলাচল কম ছিল। মানুষের চলাফেরাও ছিল খুব কম।