Published : 13 Jul 2016, 07:38 AM
তরুণ তরুণীদের এই বিভ্রান্তির পেছনে পরিবারের দায় অনেকটাই। আজ আমরা যারা বিপথগামী তরুণ তরুণীদের ফিরে আসতে বলছি তারা কি নিজেদের দায় এড়াতে পারি? আমরা আমাদের সন্তানদের কতটা আগলে রাখার চেষ্টা করেছি? বা আদৌ করেছি কিনা সে প্রশ্নটা আজ নিজেদেরকে করার সময় এসেছে।
আপনার যে সন্তানটি আজ মাদকাসক্ত সে কেন ঐ পথে গেল? আপনি কি তাকে যথেষ্ট সময় দিয়েছিলেন? তার জন্য কি একটি সুস্থ সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন? এমন কি যথেষ্ট চেষ্টাটুকু কি আপনার ছিল? একটু ভেবে দেখবেন। আপনার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার দায় আপনার, সে দায় কতটা মিটিয়েছিলেন?
না আমি শুধুমাত্র পরিবারের বা অভিভাবকদের উপরেই সব দায় চাপাতে চাই না। এর দায় সমাজকেও নিতে হবে, নিতে হবে রাষ্ট্রকেও।
আমরা জানি বেচে থাকার জন্য পেটের দায় একটি বড় দায়। আর সে দায় মেটাতে আমরা যথেষ্ট সচেষ্টও। আমরা সচেষ্ট নই কেবল আত্মার খোঁড়াক জোগাতে। আর এই খোঁড়াক জোগাতে গিয়েই তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে। এটা কি অস্বীকার করতে পারেন?
আজকাল আমাদের পরিবারগুলো হয়ে পরেছে এক একটা অশান্তির আঁতুড় ঘর। যেখানে নিত্য চলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব। প্রতিটি মুহূর্তে কেবল দেনা পাওনা, আর লাভ লোকসানের হিসেব নিকেশ। এক সময় পরিবারের প্রবীণ এবং অন্যান্য সদস্যদের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে আমরা যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার নিতি গ্রহণ করেছি। এখন সেই একক পরিবারেও চলছে স্বামী-স্ত্রীর স্বার্থের দ্বন্দ্ব। সন্তানেরা যাবে কোথায়?
পরিবারের এই দ্বন্দ্ব সবথেকে বেশি আহত করে ঐ পরিবারের সন্তানদের। তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগে। পারিবারিক অশান্তি তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান অন্তরায়। তারা একা থাকা শেখে, তারা ভালবাসতে নয়, ঘৃণা করতে শেখে। তারা অসহিস্নুতায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। দ্বায়িত্বহীনতা আর স্বার্থপরতাই তাদের শিক্ষার ভিত্তি হয়ে পরে। অ-আ, ক-খ শেখার আগেই তারা শিখে ফেলে ঝগড়া-বিবাদ আর ঘৃণা।
ঘৃণা নয় আপনার সন্তানকে ভালবাসতে শেখান। নিজের প্রতি, পরিবারের প্রতি সকল জীবের প্রতি মানুষের দায়িত্ব রয়েছে। আপনার বাসায় অবস্থান রত বিরক্তিকর তেলাপোকাটিও একটি প্রাণী এটা তাকে ভাবতে শেখান। ভালবাসাই পারে সকল বিভেদ দূর করতে। একমাত্র ভালবাসাই পারে মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে, সকল দুর্বিত্তপনা থেকে রেহাই দিতে।
আমরা আমাদের সন্তানদের শেখাই সবাইকে পেছনে ফেলার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে। সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া তারা ভাবতেই শেখে নি। এই একলা চলো নিতি তাকে যন্ত্র মানব করে তোলে। বর্তমান সময়ে তারা তাই আশ্রয় করে নিয়েছে ইনভিসিবল জগতকে। আবেগহীন এক মিথ্যে অন্তর্জলে আটকে পড়ে আছে তাদের জীবন। আমি এমনও বলতে শুনেছি ফেসবুক না থাকলে তো পাগলই হয়ে যেতাম। তার কারণ ঐ একটাই পারিবারিক অশান্তি। অনলাইন ছুটি দেয় জাগতিক অশান্তির হাত থেকে। পোড়া মন নিয়ে যখন কেউ ইন্টারনেটে বসে সে সেখানে প্রশান্তি খোঁজে। তখন যে বা যারা সেই অশান্তি প্রশমনে এগিয়ে আসে তাদেরকে মনে হয় দেবদূতের মত! তারা সহজেই একজন তরুণকে প্রভাবিত করতে পারে। ফেসবুক এখন একটি বাস্তবতা আপনি চাইলেই একে বাদ দিতে পারবেন না কাজেই একে গ্রহণ করুন এবং একে সন্তানের মনোজগতের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করুন। সন্তানের ফেসবুকের মিউচুয়াল ফ্রেন্ড হন। সন্তান প্রেম করবে এতে দোষের কিছু নেই কিন্তু সে মানুষটি যেন হয় তার সমকক্ষ। সন্তানের সাথে মা-বাবার সম্পর্ক হতে হবে বন্ধুর মত। সন্তানকে এটা শিক্ষা দেয়া উচিত যে তোমার সব থেকে জ্ঞানী বন্ধু, তোমার সবথেকে বিশ্বস্ত বন্ধু তোমার মা বাবা।
সারাদিন পরে ঘরে এসে পরিবারের কর্তা যখন গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে যথাযোগ্য সম্মান-ভালবাসা পান না। আবার গৃহকর্ত্রীও যখন অনাহূত অসৌজন্যের স্বীকার হন তখন ঐ পরিবারের সন্তানরা শুধু যে সেটা শিখছে তাই নয়, তারা এর স্বীকার হচ্ছে। এই অশান্তির হাত থেকে রেহাই পেতে তারা মাদকের আশ্রয় নিচ্ছে। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছে। তারা পার্থিব জগতের মায়া ছেড়ে অপার্থিব সুখের আশায় যা নয় তাই করছে। একটি আদর্শ ছেলে বিয়ের দুই/তিন বছরের মাথায় বা তারও পরে যখন মাদকাসক্ত হয়ে যায়। তার চারিত্রিক দুর্বলতা প্রকাশ পায় তখন স্বভাবতই দায়টা তার স্ত্রীর ঘারে এসে বর্তায়।
আমি আজ পর্যন্ত একজন পুরুষ দেখিনি যে তার স্ত্রীকে বাধ্য করেছে নিজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে প্রতিটি ক্ষেত্রে এর দায় নারীদের। যা তাদেরকেই বেশি অনিরাপদ করে তুলছে। উলটো পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুরুষটি নানা রকম কমপ্লেক্সে ভোগে, হীনমন্যতা তাকে কুড়ে কুড়ে খাঁয়। যা অনেক ক্ষেত্রে তাকে নষ্ট করে ফেলে।
এর বাইরেও আমাদের রয়েছে নানামুখী সামাজিক অস্থিরতা। লক্ষ্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, সুস্থ বিনোদনের অভাব, নৈতিক শিক্ষার অভাব। এই করে আমরা গোটা প্রজন্মকে ঠেলে দিচ্ছি একটি অসুস্থ সময়ের দিকে। আপনার সন্তান সবশেষে কবে আপনার সাথে মন খুলে কথা বলেছে। আপনার কি তা মনে আছে? তাহলে কি করে আপনি তার মনের পরিবর্তন জানতে পারবেন?
আমরা হটাতই এত বেশি অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কেন ঢুকে পড়লাম? আপনার যে সন্তান সারাদিন অনলাইনে পরে থাকে সে কি আসলেই লেখা পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে, নাকি অন্য কিছু করছে আপনাকে তা জানতে হবে। ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিলেন, কারী কারী টাকা ঢাললেন। আর আপনার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল? প্রযুক্তির উপকারিতা যেমন আছে তেমনি অভিশাপও আছে সেটাও মাথায় রাখা জরুরী।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এমনকি পারিবারিক ভাবেও ধর্ম শিক্ষার প্রতি আমাদের রয়েছে অহেতুক আলসেমি আর উদাসীনতা। অথচ আত্মার এই খোঁড়াকটি থেকেই যায়। ফলে অত্যাবশ্যকীয় যে শিক্ষাটি সে পায় নি সে শিক্ষাটিই তার কাছে আসছে বিকৃতভাবে। আর সে তা সঠিক জ্ঞানে গ্রহণও করছে। প্রথম থেকেই পরিবারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ ভাবের সাথে যখন যুক্ত হচ্ছে বিকৃত ধমীয় জ্ঞান তখন তা তাকে খুব সহজেই করে তুলছে অমানবিক।
একজন তরুণের কাছে যখন ধর্মীয় মোড়কে অবাধ যৌনাচার, অর্থ আর ক্ষমতার হাতছানি যুক্ত এক রঙ্গিন পৃথিবীর দুয়ার খুলে দেয়া হচ্ছে তখন ঐ তারুণ্যকে আপনি আটকাবেন কি করে? একে আটকানোর সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার যে ধর্মীয় অনুশাসন তারা তো সেটাকেই সবথেকে আগে ব্যবহার করছে(উল্টো ভাবে)। যখন সেটাও সম্ভব না হয় শোনা যায় তখন নাকি মানুষের স্বাভাবিক কাণ্ড জ্ঞান এবং মানবিক গুণাবলীকে ধ্বংস করে দেয়ার মত মাদকে আসক্ত করা তোলা হয়। আর তাই যদি হয় তাহলে তাকে ফিরিয়ে আনা কঠিন বৈকি?
আমরা তো মাদকের ভয়াল থাবা সেই আশির দশক থেকেই দেখে এসেছি। সরকারীভাবে, সামাজিকভাবে এর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ কি গড়ে তুলতে দেখেছি? দেখিনি, তার থেকে বরং মাদক কেন্দ্রিক বৈধ ব্যবসা ফেঁদে বসতে দেখেছি। দেখেছি মাদক নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার ধুম। বিড়ি সিগারেটের গায়ে 'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর' লেখা বাধ্যতামূলক এটা রাষ্ট্রীয় নিতি। কিন্তু তামাক উৎপাদন অবৈধ এটা রাষ্ট্রীয় নিতি নয়! বিটিআরসি আজ এতদিন পরে কেন ইউটিউব থেকে জঙ্গি উৎসাহ দেয়া ভিডিও সরাতে উদ্যোগী হল? সে দায় কার? রাষ্ট্র কি এ দায় এড়াতে পারে?
অনেক আগেই নর্থ সাউথ এবং বুয়েট বিশাল একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন উপহার দিয়েছিল আমাদের। এবার আমরা দেখলাম সে পথে হেঁটেছে আরও কয়েকটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি এদের বিরুদ্ধ কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল ঐ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় এনেছিল? আনেনি। কিশোর তরুণ ছেলেগুলো হটাত করে গায়েবী ইশারায় জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে না। তাদেরকে দিনের পর দিন তালিম দেয়া হয়। মগজ ধোলাই করা হয়। এটা কি করে হচ্ছে, কোথায় বসে কারা করছে? আমাদের প্রশাসন তা জানার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।
আবার আমাদের ইসলামী স্কলাররা প্রত্যেকেই একবাক্যে বলছেন এই জঙ্গিবাদ ইসলাম সমর্থন করে না। অনেকেই এটাকে হারাম বলে ফতোয়াও দিচ্ছেন কিন্তু এর বিরুদ্ধে ব্যক্তি উদ্যোগ বা সমষ্টি গত কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। কেন তারা এগিয়ে আসছেন না তা তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে আমরা যেটা বুঝি পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে নিজের ঘরটাও ঝুঁকিতে পরে কাজেই নিজেকে বাচাতে হলেও সে আগুনটা নিভিয়ে ফেলার চেষ্টাই বুদ্ধিমানের কাজ। আসল কথা হল জঙ্গিবাদের এই সমস্যাটা তো মূলত সমস্যা জিইয়ে রাখার মানসিকতার মধ্যেই নিহিত। আর এ কারণেই এই সমস্যা থেকে বের হওয়াটা কঠিন হয়ে গেছে।
প্রতিটি ধর্মের মূলনীতি সমূহ যদি দেশের প্রতিটি তরুণকে শেখানো যেত যদি তারা ধর্ম সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা নিয়ে বেড়ে উঠত তাহলে চাইলেই তাকে ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা প্রদান সম্ভব হত না। এটা কি খুব কঠিন কোন ভাবনার ফসল? মোটেই না, সুষ্ঠু পরিকল্পনার জন্য চাই নির্মোহ চিন্তা ভাবনা।
আমাদের মত দেশে যারা সরকার পরিচালনা করেন তারা যে কতটা স্বাধীনভাবে সেটা করতে পারেন সেটা নিয়ে রয়েছে ঘোর শঙ্কা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বিরোধী পক্ষের অন্যায় আচরণকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের মানসিকতা। আওয়ামীলীগ কি এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রথম থেকে জিরো টলারেন্স নিতি গ্রহণ করেছিল? করেনি তার কারণ হল বিরোধী পক্ষ যে এদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এটাকে জনসমক্ষে তুলে ধরা। আর সেটা করতে গিয়ে এখন পরিস্থিতি এতটাই জটিল করে তুলেছে যে এটা এখন নিয়ন্ত্রণই কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগে একটা বদ্ধমূল ধারনা তৈরি করা হয়েছিল যে মাদ্রাসা ছাত্ররাই শুধুমাত্র জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত। এটা যে কত বড় ভুল ধারনা এতদিনে তা নিশ্চয়ই নিতি নির্ধারকগণ বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। অস্বীকার করছি না প্রথম দিকে কিছু মাদ্রাসা ছাত্রের জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছিল। কিন্তু যদি এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সংখ্যার সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিচার করতে যাই তাহলে দেখা যাবে সে সংখ্যাটা নেহাতই নগণ্য। আর এই নগণ্য সংখ্যক ছাত্রের বিষয়েও যদি জানার চেষ্টা করেন। দেখবেন তাদেরও ধর্মীয় জ্ঞান খুবই সীমিত। পবিত্র কুরআনকে মুখস্থ করাই বেহেশতের টিকিট বলে এক শ্রেণীর মানুষ প্রচার করে থাকে তারা কোমল মতি শিশুদের ধর্মীয় জ্ঞান দানের থেকে অনেক বেশি নজর দেন হেফজ এর উপর। তারা শুধুমাত্র মুখস্থই করছে জানছে না বুঝছে না। আমি একবার পবিত্র কুরআনের বিশ পারা অর্থাৎ দুই তৃতীয়াংশ মুখস্থ এক শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম 'আল্লাহু আকবর' অর্থ কি? সে বলতে পারেনি!
স্বীকার করছি ঐ শিক্ষার্থীর মতই সকলের অবস্থা নয়। একই সাথে আপনাকেও এটা স্বীকার করতে হবে যে, খুব কম সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীই বিপথগামী হয়েছে। আর যারা বিপথগামী হয়েছে তাদের বেলায়ও আমরা শিক্ষার দৈন্যতাকেই প্রধানত দায়ী করব। মুফতি হান্নানের মত লক্ষ লক্ষ মুফতি মওলানা এ দেশে রয়েছেন। মুফতি হান্নান হয়ে উঠেছে একজনই। তেমনি অসংখ্য মাওলানার মাঝে একজন দুজন যারা জেনেশুনেও জঙ্গিবাদের প্রসারে কাজ করছেন তারা একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়েই কাজটি করছেন। এখানে তরুণ মুফতি মাওলানার আধিক্য তেমন একটা লক্ষ করা যায় না যেমনটি দেখা যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিতদের।
জঙ্গিবাদ থেকে মুক্তির পথ একা রাষ্ট্র বের করতে পারবে না এর সাথে যুক্ত হতে হবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলকে। কোন পূর্বশর্ত ছারাই এক মঞ্চে এসে দারাতে হবে সকল গোষ্ঠীকে। দায়িত্ব নিতে হবে এ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে। নিজেদের স্বার্থেই আমাদের আবার যতটা সম্ভব একতাবদ্ধ হতে হবে। সন্তানের সাথে মা-বাবার সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের সম্পর্কে জানেন তাদের দায়িত্ববান হতে হবে। এক কথায় একটি লক্ষ সামনে রেখে যার যা সামর্থ্য যিনি যেখান থেকে যতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম সবটুকু উজাড় করে দিতে হবে। নয়ত জঙ্গিবাদের থাবায় সোনার বাংলা ছারখার হয়ে যাবে। আমরা আর যেন কালক্ষেপণ না করি।