রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Published : 02 May 2023, 08:55 PM
চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে যে সুবিধা চালু হয়েছে, তাতে দুই দেশই লাভবান হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেছেন, “চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য যে চুক্তি হয়েছে, তাতে দু' দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।”
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীনের বরাতে বাসস জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপ্রধান সাহাবুদ্দিন বলেন, “বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের অবস্থান শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে।”
এ সময় রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে সাহাবুদ্দিন বলেন, এর ফলে দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
পানি বণ্টন চুক্তিসহ দু'দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন করেন রাষ্ট্রপতি।
হাই কমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। গত দেড় দশকে দু’দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় দেশের জনগণ তার সুফল ভোগ করছে।
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে, যা দুদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।”
অন্যদের মধ্যে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন।