ডিএনসিসি এলাকায় মোট ১০টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে।
Published : 20 Jun 2023, 12:35 AM
এবারের ঈদে কোরবানির বর্জ্য ৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, “যখন দায়িত্ব নিলাম, তখন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ হতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। পরের বছর থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর গত কোরবানির ঈদে ১২ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করেছি। এবার সবার চেষ্টায় এই ঈদে আমরা ৮ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করব।”
সোমবার বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণ দেন মেয়র। কোরবানির পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতির লেনদেন ব্যবস্থা 'স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট' নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আতিকুল ইসলাম বলেন, “কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত ডিএনসিসির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১১ হাজার কর্মী কাজ করবেন। কোরবানির বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ৯ লাখ পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ বিতরণ করা হবে।
“এই পলিব্যাগে কোরবানির বর্জ্য ঢুকিয়ে আপনারা রেখে দিবেন, সেগুলো আমরা অপসারণ করে নিব। তবে অনুরোধ, এসব পলিব্যাগে আপনারা যেন মাংস ঢুকিয়ে ফ্রিজে না রাখেন। এগুলো বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা তৈরি করেছি।”
মেয়র জানান, ডিএনসিসির অস্থায়ী ৮টি কোরবানির পশুর হাটের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আরও একটি চূড়ান্ত হবে। এছাড়া গাবতলীর স্থায়ী হাট মিলিয়ে ডিএনসিসি এলাকায় মোট ১০টি হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে।
আতিক বলেন, “৮টি কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ব্যবস্থা থাকবে। এই হাটগুলোই হবে স্মার্ট হাট। আমরা ধীরে ধীরে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে সব লেনদেন হবে স্মার্টলি।
“তেমনই কোরবানির পশুর হাটে আমরা ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারব। এরইমধ্যে ১০ হাজার খামারির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এই লেনদেনের জন্য।”
এ বছর উত্তরা দিয়াবাড়ির বউ বাজার এলাকার খালি জায়গা, ভাটারা (সাঈদনগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুরের বছিলা, গাবতলী হাট, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠে ডিএনসিসির কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে। এছাড়া ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মস্তুল তল্লাশিচৌকি সংলগ্ন খালি জায়গাতেও অস্থায়ী হাট বসানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ডিএনসিসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশন কোরবানির পশু হাটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
ক্রেতারা পশু কেনার পর এবি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কার্ডে মূল্য পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া বিকাশ, নগদ, উপায় ও এমক্যাশেও টাকা দেওয়া যাবে।
মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ জিয়াউল হক, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হুসাইন, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।