পরিবারের সদস্যরা কেউ দেশে না থাকায় কানাডাতেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
Published : 07 Oct 2023, 12:30 PM
পরিবারের ইচ্ছায় কানাডার অন্টারিও রাজ্যের পিকারিং শহরের একটি কবরস্থানে শায়িত হলেন কবি আসাদ চৌধুরী।
স্থানীয় সময় শুক্রবার জুমার পর পিকারিংয়ের ডাফিন মেডোজে কবিকে সমাহিত করা হয়। এর আগে অন্টারিওর টরন্টোর শহরের নাগেট মসজিদে তার জানাজা হয়। সেখানে স্বজনদের পাশাপাশি কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশ নেন।
কানাডা প্রবাসী রাশেদ শাওন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার বাদ জুমা (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়) জানাজা হয়। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়।”
এসময় কবির স্ত্রী সাহানা চৌধুরী, দুই ছেলে আসিফ চৌধুরী, জারিফ চৌধুরী, কন্যা নুসরাত জাহান চৌধুরী এবং জামাতা নাদিম ইকবালসহ পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
এছাড়া কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. খলিলুর রহমান, টরন্টোর কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমান, কবি দেলওয়ার এলাহী, রাশেদ শাওন এবং কানাডায় বাঙালি কমিউনিটির লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।
কানাডায় দাফনের কারণ জানিয়ে কবির জামাতা নাদিম ইকবাল বলেন, “উনার পরিবারের সদস্যরা কেউ দেশে থাকেন না। এজন্য পরিবারের সবাই চেয়েছেন কানাডাতেই যেন দাফন করা হয়।”
প্রায় তিন সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার অন্টারিওর অশাওয়া শহরের লেকরিজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আসাদ চৌধুরী। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই কানাডাতেই থাকেন।
১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার মেহেন্দিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আসাদ চৌধুরী। প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’ এ পরিচিতি পান তিনি। ১৯৮৭ সালে পান বাংলা একাডেমি পুরস্কার। ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
আরও পড়ুন-