“এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিজিবি ও বিএসএফ আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে।”
Published : 01 Feb 2024, 08:31 PM
বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘দুঃখ প্রকাশ করেছে’ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, “২২ জানুয়ারি ২০২৪ সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মৃত্যুতে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
“এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিজিবি ও বিএসএফ আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে।”
গত ২১ জানুয়ারি ভোরে যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন। দুদিন পর পতাকা বৈঠকে তার লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, “এই সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন বিষয়ে সামগ্রিক আলোচনা হবে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করছি।”
আওয়ামী লীগের নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের এ সফরের আলোচ্যসূচিতে তিস্তা নিয়ে চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়টি থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, “চীনের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে কিনা তা এই মুহূর্তে এভাবে বলা যাচ্ছে না। যদি ভারত এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কিছু জানতে চায়, তখন আমরা বিষয়টি ভেবে দেখব।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে অগ্রাধিকার পাবে কোন বিষয়গুলো, সেই প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, “এই সফরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশষতঃ দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সহযোগিতা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, কানেক্টিভিটি, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায় সে সকল বিষয় প্রাধান্য পাবে।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি ভারতকে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এমন অনুমতির ক্ষেত্রে ভারতের সাথে কী ধরনের চুক্তি হয়েছে, এমন প্রশ্নে মুখপাত্র সেহেলী বলেন, ২০১৮ সালের ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মংলা পোর্ট (এসিএমপি)’ অনুযায়ী ভারতকে বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
“নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে একটি স্থায়ী আদেশ জারি করে, যার ফলে ভারত এখন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট ব্যবহার করতে পারবে। এ ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণভাবে যে সকল শর্তাবলী প্রযোজ্য হয়, এ চুক্তিও সে সকল বিষয় বিবেচনায় রেখে সম্পাদন করা হয়েছে।”