সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিলে গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৯৫ হাজার ৮৮৮ টাকা জমা পড়েছে।
Published : 04 Mar 2024, 06:27 PM
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ২১৪ জনকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জানান, সড়কে পরিবহন আইন, ২০১৮-এর আওতায় সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিলে গত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৩ কোটি ৯৫ হাজার ৮৮৮ টাকা জমা পড়েছে।
“আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তহবিল থেকে এ যাবৎ ২১৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নয় কোটি চুয়াল্লিশ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক দেয়া হয়েছে।”
সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, বরিশাল-ভোলা সড়কের তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর উপর ১০ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সেতু তৈরির জন্য সাম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে।
অর্ধেকের বেশি নারীর হয় বাল্যবিয়ে
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে-২০১৯ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতিমন্ত্রী বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরেক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী জানান, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের অগাস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্য বিয়ে রোধ করা গেছে। একই সময়ে বাল্য বিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, জীবন বাঁচাতে সাতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ৫ লাখ ৯ হাজার ৮৭০জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
দুই বছরে ১৭০ রেল দুর্ঘটনা
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেলপথে ১৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
নিজাম উদ্দিন হাজারী মন্ত্রী বলেন, “বিনা টিকেটে ট্রেন ও ট্রেনের ছাদে উঠা বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে। এতে টিকিটবিহীন যাত্রী প্রবেশ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সমন্বয়ে নিয়মিত টিকিট চেকিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।”
বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, “পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে। অর্থায়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী অনুসন্ধানের জন্য ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয় হতে ইআরডি এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নির্ধারিত হলে ভাঙ্গা হতে পায়রা হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ হবে।”