নেত্রকোণার সৌরচালিত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার

‘বিদ্যুৎ না নিলে টাকা দেওয়া লাগবে না’-এমন নীতির আলোকে ৫০ মেগাওয়াটের এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2024, 12:14 PM
Updated : 29 Feb 2024, 12:14 PM

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে নির্মাণাধীন বেসরকারি খাতের আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। 

‘বিদ্যুৎ না নিলে টাকা দেওয়া লাগবে না’-এমন নীতির আলোকে নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা ইউনিয়নে ৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। 

প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে ৯ সেন্ট বা বাংলাদেশি টাকায় ১০ টাকা। 

বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এটিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মোট ১২টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। 

নেত্রকোণার বিল সুড়ঙ্গি মৌজায় ৫০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করছে প্যারাগন বাংলাদেশ, রায়জান এনার্জি ইউকে ও সেন্টার ফর রিনিউয়েল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের যৌথ কোম্পানি। 

মাহবুব খান বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ‘বিদ্যুৎ না নিলে টাকা দেওয়া লাগবে না’ এমন নীতির আলোকে এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের এমএস অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। 

অতিরিক্ত সচিব বলেন, “এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। প্রতি টনের মূল্য ৩০৩ দশমিক ১৯ ডলার। আগের দাম ছিল ৩১৫ দশমিক ২৯ ডলার।” 

এ দিনের বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম ৫৭৬ ডলার; আগের কেনাকাটায় দাম ছিল প্রতিটন ৫৮৯ ডলার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের পাঁচটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ১৮৯ কোটি ৫৭ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। একেকটি প্যাকেজে একেকজন ঠিকাদার অংশ নিচ্ছেন। 

মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিংয়ের কাছ থেকে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তিতে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে খসড়া এলএনজি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে শুরু হয়ে ১৫ বছর মেয়াদে কেনাকাটা করা হবে। 

এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে এ কেনাকাটায় ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম হচ্ছে ১৫৮ টাকা ৭৯ পয়সা; আগের কেনাকাটায় দাম ছিল ১৬৫ টাকা ২৫ পয়সা। 

এ মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। রাজশাহীর নাবিল-নাবা ফুড লিমিটেডের কাছ থেকে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকায় এ পরিমাণ ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে প্রতিকেজির দাম পড়ছে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা।