আইডিয়ালের ওই ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
Published : 20 Aug 2023, 04:55 PM
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা আইডিয়ালের ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাবা রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন। তার পক্ষে আবেদনটি জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ আইনজীবী আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
আইডিয়ালের ওই ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। সেইসঙ্গে মুশতাকের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
সেদিন আদালত বলে, ওই ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ বিপরীতমুখী বক্তব্য দিয়েছে। তাই ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ করা জরুরি। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত সে নারী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।
তবে ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেয় হাই কোর্ট।
সেদিন হাই কোর্ট আসামি খন্দকার মুশতাক আহমেদ, আইডিয়ালের ছাত্রী এবং তার বাবার বক্তব্য শোনে।
গত ১৬ অগাস্ট এ মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেছিল হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ অপারগতা প্রকাশ করে জামিন আবেদনটি ফেরত দেয়।
তারও আগে গত ১ অগাস্ট মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন কলেজছাত্রীর বাবা। ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে এবং ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে ওই মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে রিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি তাকে ‘বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন’।
“কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।”