অনিবন্ধিত পোর্টাল ও আইপিটিভির ‘গুজব’ বড় চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী

“দেখা যায় জেলাপর্যায়ে অনেকগুলো অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল, আপিটিভি আছে, ইউটিউব আছে; সেখানে যারা কাজ করে তারা আবার নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2023, 08:14 AM
Updated : 26 Jan 2023, 08:14 AM

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল, আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ‘গুজব’ ছড়ানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিসিদের সঙ্গে সভার পর তিনি বলেন, “দেখা যায় জেলাপর্যায়ে অনেকগুলো অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল, আপিটিভি আছে, ইউটিউব আছে; সেখানে যারা কাজ করে তারা আবার নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুল-গুজব-বিভ্রান্তি ছড়ায়৷ এটি বড় চ্যালেঞ্জ।”

এ ব্যাপারে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তারা যদি দেখেন কেউ বিভ্রান্তি, গুজব, অসত্য, ভুল ছড়িয়ে হানাহানি করছে, বা কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রমণ করে তা আবার অন্য এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করছে, তবে তা ত্বরিৎ আমাদের জানাতে বলেছি।

“সেই সাথে সত্য কী, তা প্রচার করতে বলেছি। গুজব সোশ্যাল মিডিয়াতে রটানো হলে সত্যটাও সোশ্যাল মিডিয়াতেই যেন বলা হয়, সে ব্যাপারে তাদের (ডিসি) বলা হয়েছে।”

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আইপিটিভি বা অনলাইনে গুজবের বিরুদ্ধে ডিসিদের পদক্ষেপ কেমন হবে- এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “তারা চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে না, প্রক্রিয়া আছে। বিটিআরসিকে জানাতে হয়। মনে রাখতে হবে- গুজব ছড়ায় দ্রুত, কিন্তু ব্যবস্থা নিতে অনেক সময় লাগে।”

দেশে নিবন্ধিত সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা জানিয়ে তিনি বলেন, সর্বসাকুল্যে আমরা ১২টি আইপিটিভি, ১৭০টি অনলাইন, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ১৭০টি, টেলিভিশনের কয়েকটি অনলাইনকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। বাকিদের কারো রেজিস্ট্রেশন নেই।

“কোন আইপিটিভি অনলাইন নিবন্ধিত তা ডিসিরা জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের সেটি জানিয়ে দেব।”

প্রশাসনের ‘দলীয়করণের’ অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে প্রশাসনে কোনো দলীকরণ করা হয়নি, চেষ্টাও করা হয়নি, পরিকল্পনাও নেই। যারা এসপি-ডিসি হয়েছেন তারা যথাযথ পদ্ধতি মেনেই হয়েছেন।

“দলীয়করণ হলে বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে তখন হয়েছে। জিয়াউর রহমান করেছে, এরশাদের আমলে হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সরকার প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করে। সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গ একসাথেই কাজ করে। সরকার তার কর্মসূচিগুলোও প্রশাসনের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করে। এখানে দলীয়করণের কিছু নেই।”

নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনকে সরকারের নির্দেশনা দেওয়ার কিছু নেই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “সরকার নির্বাচন করে না, নির্বাচন কমিশন করে। প্রশাসনের কাছে কোনো নির্দেশনা থাকলে সেটি নির্বাচন কমিশন দেবে।”

সিনেমা হল নির্মাণ, পুনরায় চালু ও আধুনিকায়নের জন্য হাজার কোটি টাকার নতুন তহবিল করার বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে জানিয়ে দিতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। ডিসিদের কাছ থেকে সব উপজেলায় তথ্য অফিস করার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলেও সে ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “সব উপজেলায় সব মন্ত্রণালয়ের অফিস থাকা লাগবে, এটা বাধ্যতামূলক না। ক্রমাগত সরকারের আকার বড় করা সমীচীন না।”