সিটিতে কাউন্সিলরের শূন্য পদে দায়িত্ব পাবেন নারী কাউন্সিলর

নতুন আইনের খসড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাও ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2024, 03:48 PM
Updated : 11 Feb 2024, 03:48 PM

সিটি করপোরেশনের কোনো কাউন্সিলের পদ শূন্য হলে সেখানে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর দায়িত্ব পাবেন। 

এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

নতুন আইনের খসড়ায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাও ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। 

সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, “আগে যেটা ছিল কোনো কাউন্সিলর যদি অনুপস্থিত থাকতেন বা যদি উনি বিদেশে যান বা শূন্য হতো কোনো কারণে, পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওটার দায়িত্ব পেতেন। কিন্তু এখন যেটা করা হয়েছে যদি শূন্য হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তখন ওখানকার যে সংরক্ষিত আসনের যিনি কাউন্সিলর আছেন, তাকে দায়িত্বটি দিতে হবে, সেই বিধানটি আসছে।" 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, "গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে এই আইন উপস্থাপন হয়েছিল এবং তখন এটিকে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেটি উপস্থাপন করা হলে তখন সংসদে নেওয়ার প্রসঙ্গ ছিল কিন্তু তখন তারা বাকি প্রসেস করে সংসদে নিতে পারেনি। এজন্য এই সংসদে উপস্থাপন করার জন্য ওনারা আবার মন্ত্রিসভায় উঠিয়েছিলেন।” 

মন্ত্রিসভা সেটি সামান্য একটু সংশোধন করে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানান তিনি। 

এ আইনের আরেক পরিবর্তনের প্রস্তাবের বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, “ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা এখন ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনে চলে আসছে। এই পুরো কাজটিকে আনার জন্য যে পরিবর্তন দরকার, সেটা এখানে আনা হয়েছে।" 

আরও কয়েকটি বিষয়ে খসড়ায় বদল আনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আগের আইনে ছিল যে একটি সিটি করপোরেশন গঠিত হলে বা বিদ্যমান সিটি করপোরেশনের কি এরিয়া হবে-সেটি একটি তফসিলভুক্ত ছিল। এবার বলা হচ্ছে তফসিলভুক্ত না করে সরকার গেজেট দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে। সে বিধানটি এখানে রাখা হয়েছে।" 

এছাড়া মেয়র বা কাউন্সিলরের ছুটির সময় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে আইনের সংশোধনীতে। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনুমতি নিয়ে মেয়র কিংবা কাউন্সিলররা বছরে তিন মাস পর্যন্ত ছুটি ভোগ করতে পারতেন। এখন সেটি করা হয়েছে এক মাস৷ 

একই সঙ্গে আগে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার যে বিধান ছিল তা পরিবর্তন করে ৯০ দিনের মধ্যে করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। 

সচিব বলেন, "এখন যে রকম আছে আইনে তারা প্রথম যেদিন করপোরেশনের সভা হয় সেখান থেকে পাঁচ বছর এটা বলবৎ থাকবে। এরপরে নতুন যে নির্বাচিত মেয়ররা শপথ নেয়ার পরে তারা ১৫ দিনের মধ্যে করপোরেশনের সভা আহ্বান করবে এবং যেদিন করপোরেশনের সভা সেদিনই আগেরটা বিলুপ্ত হবে এবং এটা কার্যকর হবে।" 

তিনি বলেন, "প্রত্যেকটা সিটি করপোরেশনে এখনকার আইনে প্রায় ১৪টি কমিটি গঠন করার কথা বলা আছে, বিভিন্ন টাইপের কমিটি আছে। এখানে আরও সাতটি কমিটি যোগ করা হয়েছে, যোগ করে সে সুযোগটা রাখা হয়েছে।" 

সিটি করপোরেশনের সচিবকে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।