পুলিশ বলছে, ট্রেনে আগুনের ঘটনার পর লাশ নিতে স্বজনরা আবেদন করেছিলেন; লাশ শনাক্তে তাদের দেওয়া নামগুলোই এসেছে।
Published : 15 Feb 2024, 03:16 PM
ভোটের একদিন আগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ আগুনে নিহত চারজনের লাশ অবশেষে বুঝে পাচ্ছেন স্বজনেরা।
নাশকতার ওই ঘটনার ১ মাস ১১ দিন পর বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই সেতাফুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “খবর পাওয়ার পরই সকালে স্বজনরা লাশ নিতে মর্গে আসেন। ট্রেনে আগুনের ঘটনার পর লাশ নিতে স্বজনেরা আবেদন করেছিলেন। সেখানে যে নামগুলো এসেছিল, লাশ শনাক্তে তাদের নামই এসেছে।”
যাদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন- রাজবাড়ীর আব্দুল হকের ছেলে আবু তালহা (২৪), সদর উপজেলার এলিনা ইয়াসমিন (৪০), একই উপজেলার রঘুনাথপুরের চিত্তরঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৮) ও রাজধানীর গেন্ডারিয়ার নাতাশা জেসমিন নেকি (২৫)।
সেতাফুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে আবু তালহা সৈয়দপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে দগ্ধ হয়ে মারা যান। আর রাজবাড়ীর চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি থাকতেন তেজগাঁওয়ের পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায়। তার ভাই দিবাকর চৌধুরী বোনের মরদেহের দাবি করেছিলেন।
ভোট ঠেকাতে বিএনপির ডাকা হরতালের আগের রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আগুনে পুড়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস। গত ৫ জানুয়ারি যশোরের বেনাপোল থেকে দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢোকার পর কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর আগে সায়েদাবাদ থেকে গোলাপবাগের পথে ওই ট্রেনে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
আগুনে চারটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়ে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মোখলেছুর রহমান বলেছিলেন, সায়দাবাদ এলাকা অতিক্রমকালে বেনাপোল এক্সপ্রেসের ‘চ’ বগিতে প্রথমে আগুন দেখা যায়। এরপর পাওয়ার কার এবং আরো দুটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে স্পষ্ট নাশকতা হিসেবে বর্ণনা করে পুলিশ। কমলাপুর রেলওয়ে থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) এস এম নুরুল ইসলাম। অভিযানে নেমে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে যুবদলের সংশ্লিষ্টতার কথা জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন-