অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় এই মামলা করেছে।
Published : 02 Mar 2024, 09:47 AM
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধশত প্রাণহানির ঘটনায় রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে শুক্রবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করেছে বলে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু আনসার জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, “নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না আসায় পুলিশই বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছে। তাদের (নিহতদের পরিবার) পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে।”
পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে সন্দেহের তালিকায় আরো ২/৩ জনকে রাখা হয়েছে।
যাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তারা হলেন- ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’র দুই মালিক আনোয়ারুল হক (২৭) ও শফিকুর রহমান রিমন (২০), বিরিয়ানি রেস্তোরাঁ ‘কাচ্চি ভাই’র বেইলি রোড শাখার কর্মকর্তা জয়নুদ্দিন জিসান (৩০) এবং ভবনটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা মুন্সী হামিমুল হক বিপুল।
চারজনের মধ্যে আনোয়ারুল, শফিকুর এবং জয়নুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
আর হামিমুলকে শনিবার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, “আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের পক্ষে ভবনটি দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন হামিমুল। এই ভবনটি আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ নির্মাণ করেছে।”
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে লাগা আগুনের সূত্রপাত নীচতলার ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকান থেকে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া একটি ভিডিওকে তদন্তের বড় আলামত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনে নিচ তলায় আগুন লেগেছে, আর তা নেভানোর চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্র খুঁজতে গিয়ে এটি পাওয়া যায়। এটি স্থানীয় লোকজন আমাদের দিয়েছে। আমাদের করা ভিডিও না।
“এটি একটি সূত্র, তবে চূড়ান্ত নয়। তদন্তের সময় অনেকের সাথে কথা বলতে হবে, আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। তারপরেই বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা।”
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন।