Published : 04 Jul 2023, 06:00 PM
আইনিভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবং বিমানের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন প্রথমে তামিমা ও রাকিব দম্পতির মেয়ের সাক্ষ্য নেন। পরে রাকিবের মামা লুৎফর রহমানও সাক্ষ্য দেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিব হাসানের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়েও হয়, যার বয়স এখন ৮ বছর
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। তখন মামলা করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান জানান, সাক্ষীদের মধ্যে মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ক্যামেরা ট্রায়ালে তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়, এসময় এজলাস থেকে মামলা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া বাকি সবাইকে বের করে দেওয়া হয়।
লুৎফর তার জবানবন্দিতে মামলার আরজিতে বর্ণিত ঘটনায় তার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বলে জানান আতিকুর।
এদিন ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা আদালতে হাজিরা দেন। তাদের উপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে আসামিপক্ষ সাক্ষীদের জেরাও করে।
বাদীর আইনজীবী ইশরাত হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষ্যে মেয়েটি বলেছে, তার মা তার বাবাকে তালাক দিয়েছে বলে যেদিনকার কথা বলেছে, তার পরেও অনেকদিন দুজনকে একসঙ্গে দেখেছে সে। “
কথিত তালাকের পর বাদী রাকিব ও তামিমার একসঙ্গের দাম্পত্য জীবনের ছবি বাদী পক্ষে সাক্ষ্য প্রদর্শনী হিসাবে দাখিলও করা হয় বলে জানান তিনি।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তামিমার স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বলা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির বিয়ে করেন।
পরে ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পরে ওই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
পরে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটো আবেদনই আদালতে নাকচ হয়ে যায়। ফলে নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা চলতে আইনি বাধা কাটে।
পরে গত ২০ মার্চ বাদী রাকিবের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
পুরনো খবর