নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলায় রাকিবের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

এই আদালতে রাকিব হাসানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ২০ মার্চ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2023, 11:47 AM
Updated : 21 May 2023, 11:47 AM

আইনসম্মতভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ের অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন এবং বিমানবালা তামিমা সুলতানা বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। 

দুই বছর আগের এই মামলায় রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার বাদী তামিমার স্বামী রাকিব হাসানের জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান জানিয়েছেন, রাকিব হাসান তার সাক্ষ্যে আরজিকে সমর্থন করে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

এ আদালতে রাকিব হাসানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল গত ২০ মার্চ।
গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন একই বিচারক। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে রিভিশন আবেদন করেছিলেন নাসির ও তামিমা। এছাড়া সুমি আক্তারকেও আসামি করতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিভিশন আবেদন করা হয়।

চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটো আবেদনই আদালত নাকচ করে দেয়। ফলে নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা চলতে আইনি বাধা কাটে। 

মামলার আর্জিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু।

পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে গিয়ে মহামারীর সময়ে লকডাউনে আটকা পড়েছিলেন তামিমা। তবে ফোন ও সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার (তামিমা) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলে রাকিবের ভাষ্য।

রাকিব বলছেন, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকেই বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। আর মামলা করেন ২৪ ফেব্রুয়ারি।

মামলা হওয়ার পরদিন ঢাকার বনানীতে সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নাসির ও তামিমা।

রাকিবকে ‘তালাক দিয়েই’ নাসিরের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন দাবি করে তামিমা সেদিন বলেছিলেন, “উই আর ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। উই আর নট গিল্টি। উই আর ইনোসেন্ট। আমি কোনো ভুল করিনি। হেনস্তা করার জন্য রাকিব এসব করেছে।”

কিন্তু মামলা তদন্ত করে পিবিআই যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে ‘যথাযথভাবে বিচ্ছেদ না করেই’ নতুন বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয় তামিমার বিরুদ্ধে।

আর নাসিরের বিরুদ্ধে আনা হয় ‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ’ করে নিয়ে যাওয়া, ‘ব্যাভিচার’ এবং তামিমার আগের স্বামীর মানহানি ঘটানোর অভিযোগ।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিস পাননি। তামিমা উল্টো ‘জালিয়াতি’ করে তালাকের নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ায় তামিমা এখনও ‘আইনত রাকিবের স্ত্রী’।