“প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, এডিসি হারুন এবং ইন্সপেক্টর মোস্তফা বাড়াবাড়ি করেছেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন।”
Published : 06 Feb 2024, 04:14 PM
তদন্ত প্রতিবেদনের আগে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ হাসপাতালে এডিসি হারুন-অর-রশীদের মারধরের শিকার হওয়ার যে তথ্য দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
মঙ্গলবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এনিয়ে কথা বলেন, যা ডিএমপি মিডিয়া থেকে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠার পর তা নিয়ে চলছে আলোচনা। ছাত্রলীগ এই ঘটনার বিচার দাবি করার পর ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুনকে সোমবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিএমপি।
এরমধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন মঙ্গলবার বলেন, শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের মারধরের আগে ঘটনার সূত্রপাত কাছের বারডেম হাসপাতালে। সেখানে আগে রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে এডিসি হারুনকে মারধর করেন। তার জের ধরে ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
এপিএস মামুনের স্ত্রীর সঙ্গে সেদিন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে গিয়েছিলেন এডিসি হারুন। ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তাও একজন এডিসি। তিনি এই ঘটনার জন্য তার স্বামীকে দায়ী করছেন। তার ভাষ্য, তার সহকর্মী হারুন নির্দোষ।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুনের বক্তব্যের বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “হারুন এই তথ্য কোথায় পেল, তা হারুন বলতে পারবে।”
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি গোলাম ফারুক।
নারী এডিসি এবিষয়ে তার স্বামীকে দায়ী করে সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেবিষয়ে তিনি বলেন, “আমি তার সাথে কথা বলিনি। সে এ ধরনের স্টেটমেন্ট দিলে ঠিক করেনি। তাছাড়া কমিশনারের অনুমতি ছাড়া এধরণের স্টেটমেন্ট দিতে পারে না।”
ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকে বদলি করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, এডিসি হারুন এবং ইন্সপেক্টর মোস্তফা বাড়াবাড়ি করেছেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। এই দুইজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে কার কতটুকু দোষ সে অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে সে অনুযায়ী পুলিশ সদরদপ্তরে বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ প্রেরণ করা হবে।"
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)