আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
Published : 17 Jan 2024, 12:09 PM
দেশের সব অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও দেশজুড়ে বিরাজ করা তীব্র শীতের মধ্যেই বৃষ্টির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এই বৃষ্টির পর কুয়াশার মাত্রা এবং শীতের দাপট দুটোই কমতে পারে আশা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মধ্যরাতের পর থেকে বৃহস্পতিবার দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আকাশে মেঘ দেখা যাবে। বৃষ্টির পর কুয়াশা কমে শীত কমার সম্ভাবনা আছে।
"মেঘের কারণে দিনের তাপমাত্রা একটু কমের দিকে থাকবে, কিন্তু রাতে শীত তুলনামূলক কম অনুভূত হবে।"
বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে দেশের সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ তামপাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ রহমান বলেন, কয়েকদিন পর শীতের তীব্রতা কমলেও ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ পর্যন্ত ‘ঠান্ডার ভোগান্তি’ থাকবে।
তিনি বলেন, "মাঝে মাঝে একটু কম হবে, মাঝে মাঝে একটু বেশি হবে৷ এরপর আস্তে আস্তে শীত বিতাড়িত হবে৷"
বছরের শুরু থেকে শীতের দাপট শুরুর পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, ঘন কুয়াশা এবং উত্তুরে হাওয়া শীতের অনুভূতি তীব্র করে তোলে। জীবনজীবন স্থবির করে কয়েকটি জেলায় বয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহ।
কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে।
চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।