আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজত থেকে ফাঁসির আসামি দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়াকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলেছেন নিহত প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব প্রকাশক দীপন হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত।
বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হন দীপন।
আনসার আল ইসলাম জঙ্গিরা সেই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে উঠে আসে। ২০২১ সালে আদালতের দেওয়া রায়ে আনসার আল ইসলাম নেতা সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার মইনুল ও সোহেলকে অন্য একটি মামলার শুনানির জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আনা হয়েছিল। শুনানি শেষে তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলার আগে পুলিশকে ‘কেমিকেল স্প্রে করে’ এই দুই জঙ্গির সহযোগীরা তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফাঁসির আসামিদের তো বিশেষ ব্যবস্থায় আদালতে আনা-নেওয়া করা হয়। তাহলে এর মধ্য থেকে দুজনই পালিয়ে গেল কীভাবে? আশ্চর্যজনক।
“এই প্রশ্ন এখন আমার পাশাপাশি সবারই। পুলিশ সতর্ক ছিল বটে, কিন্তু তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল।”
আসামি পালিয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছেন কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, “নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি না, তবে পরিচিত অনেকেই ফোন দিচ্ছেন। তারা আমাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা যেন নিরাপদে থাকি, সেটাই তারা চাইছে।”
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীঅভিযান চালিয়ে গেলেও চললেও তার মধ্যেই নতুন করে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক।
“তারা এই জঙ্গিবাদের প্রতি কোন কারণে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে যেসব বই বা আলামত পাওয়া যাচ্ছে, এগুলো বিশ্লেষণ করা দরকার। জঙ্গিবাদ অনেক শিক্ষিত এবং স্বচ্ছল পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”