আইনটি পাস হলে কসমেটিক ব্যবসা সংশ্লিষ্টদেরও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাগবে।
Published : 06 Feb 2023, 07:37 PM
অধিক মুনাফার জন্য ওষুধ মজুদ করা হলে কিংবা নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বা বিক্রি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আসছে।
নতুন এ আইন পাস হলে লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ উৎপাদন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে। আর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি করলে গুনতে হবে ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
এসব বিধান রেখে সোমবার ‘ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন ২০২৩’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ সভা হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, “বর্তমানে দুটো আইন আছে, এর মধ্যে একটি হলো ঔষধ আইন ১৯৪০, আরেকটি হলো দি ড্রাগস অ্যাক্ট ১৯৮২; এই দুটোকে এক করে এবং এর সাথে আরও কিছু উপাদান যুক্ত করে মন্ত্রিসভা থেকে গত বছরের ১১ অগাস্ট যে খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, সেটার চূড়ান্ত অনুমোদন আজকে দেওয়া হল।
“আজকে অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন এসেছে। এই আইনটা আগে যা ছিল সেখানে ফোকাস করা ছিল শুধু ঔষধ নিয়ে, আর এখানে কসমেটিকসও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘ঔষধ ও কসমেটিক্স আইন ২০২৩’ নামে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
প্রস্তাবিত আইনে ৩০টি অপরাধ চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ ওষুধের কৃত্তিম সংকট তৈরি করলে, মুনাফার জন্য ওষুধ মজুদ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। কোনো নকল ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রয় করলে, মজুদ বা বিতরণ করলে সেখানেও যাবজ্জীবন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
“ঔষধে ভেজাল করিলে মজুদ বা বিতরণ, বিক্রয় করিলেও যাবজ্জীবন শাস্তি রাখা হয়েছে। লাইসেন্স ব্যতীত বা লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ উৎপাদন করা হলে, নিবন্ধন ব্যতীত ঔষধ উৎপাদন বা বিতরণ করা হলে, সরকারি ঔষুধ বিক্রয় বা প্রদর্শন করিলে লাইসেন্স ব্যতীত হলে ১০ বছর কারাদণ্ড হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ঔষধ বিক্রি করিলে ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এখানে কারাদণ্ড নেই।”
সচিব বলেন, আইনটি পাস হলে কসমেটিক ব্যবসা সংশ্লিষ্টদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিবন্ধন লাগবে। প্রস্তাবিত আইনে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ন্ত্রণের ধারা রাখা হয়েছে।