'সব আলো নিভে যায়নি'

“এই আলো দিয়ে আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই, যে ভবিষ্যতে ফারদিনের মত আর কারও প্রাণ না ঝরে যায়,” বলছিলেন বুয়েটের এক শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2022, 04:18 PM
Updated : 7 Dec 2022, 04:18 PM

মোমবাতি জ্বালিয়ে ও দেয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে সহপাঠী ফারদিন নূর পরশ হত্যার তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

শীতলক্ষ্যা থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধারের এক মাসপূর্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ফারদিন হত্যার বিচার চেয়ে দেয়ালিকা করেন।

কর্মসূচিতে বুয়েট শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন বলেন, “আমরা ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সাথে আরেকটি দাবি জানিয়েছি যে ফারদিনের মত যেন আর কোনো প্রাণ না হারায়।

“এ ধরনের আন্দোলন চালিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতীকী কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হয়, এটিও সেরকম একটি প্রতীকী কর্মসূচি। এর মাধ্যমে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাচ্ছি যে এই মোমবাতির আলোর মত কিছু আলো এখনও জ্বলছে, সব আলো নিভে যায়নি। এই আলো দিয়ে আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ চাই যে ভবিষ্যতে ফারদিনের মত আর কারও প্রাণ না ঝরে যায়।”

ফারদিন হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ও অফলাইনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

আরেক শিক্ষার্থী মাশিয়াত জাহিন বলেন, “যতই তদন্ত আগাচ্ছে আমরা তত কনট্র্যাডেক্টরি (পরস্পরবিরোধী) বিষয় দেখতে পাচ্ছি। মাঝখানে আমরা দেখতে পেলাম যে ডিবি আর র‍্যাব যে তথ্যগুলো দিচ্ছে সেগুলো কনট্র্যাডেক্টরি। সেজন্য আমরা একটু বিভ্রান্ত এবং ব্যাপারটা একটু কষ্টদায়কও।

“আমরা বলছি না যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার উপর আমাদের আস্থা নেই, বরং তাদের ওপর আস্থা রেখেই আমরা ফারদিন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর বিচার চাই।”

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন। পরে ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই সময় ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়ার কথাও জানান চিকিৎসক। তবে তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও ঘড়ি সব তার সঙ্গেই পাওয়া গিয়েছিল।

এরপর ফারদিনের বাবার করা মামলায় তার বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় রামপুরা থানা পুলিশ।

এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরাতে সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে চনপাড়ায় মাদক বিক্রেতাদের পিটুনিতে ফারদিন মারা গেছেন।

তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, চনপাড়াতেই ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে কি না, তা তারা নিশ্চিত হতে পারেননি।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব ডিবির ওপর হলেও র‌্যাব এর ছায়া তদন্ত করছে।