পদ্মায় ট্রেন: উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

ছবি: পিএমও

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। প্রমত্তা পদ্মার বুকে সড়কসেতুর পর এবার ট্রেন পেতে চলেছে এই অঞ্চলের মানুষ।

আর তাদের স্বপ্ন পূরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধানের হাত দিয়ে শুরু হবে সেই স্বপ্নযাত্রা।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া রেলস্টেশনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে মাওয়ার পথে রওনা হয় প্রধানমন্ত্রীর একটি গাড়ি বহর।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস জানিয়েছেন, ১০টা ২০ মিনিটে হানিফ ফ্লাইওভার পেরিয়ে সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের আব্দুল্লাহপুরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর।

পদ্মার বুকে এবার রেলপথে যাত্রা

মাওয়া স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে করে ভাঙ্গা যাবেন। সেখানে উপজেলা সদরের কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি বক্তব্য দেবেন।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, উদ্বোধনের পর ট্রেনে চেপেই সরকারপ্রধান যাবেন ভাঙ্গা। তাতে পাওয়ার কারসহ কোচ থাকছে ১৪টি।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর প্রায় ১০ মাস পর গত ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সেতু অতিক্রম করে পরীক্ষামূলক ট্রেন। সেদিন একটি গ্যাং কার এবং তিন দিন পর কমলাপুর থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়।

তবে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেন শুরু হয়ে যাবে না। রেল কর্মকর্তারা জানান, এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও তিন সপ্তাহ।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানিয়েছেন, আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

তিনি জানান, এ পথে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলা ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’, ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত চলা ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ বঙ্গবন্ধু সেতুর বদলে পদ্মা সেতু হয়ে চলবে।

এর পাশাপাশি রাজশাহী থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পর্যন্ত ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ নামে যে ট্রেনটি চলাচল করছে, সেটির চলার পথ বাড়িয়ে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে রাজশাহী যোগাযোগেও রেলে নতুন একটি পথ চালু করতে যাচ্ছে পদ্মা রেল সেতু।

এ তিন রুটের ট্রেন চলাচল পর্যবেক্ষণ করে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও জানান শাহাদাত আলী।