চার আইনজীবীকে জামিন না দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 07 Aug 2023, 08:42 PM
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপিপন্থি ১৪ জন আইনজীবী আট সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
এ ছাড়া চার আইনজীবীকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগাম জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম, মো. সাগর হোসেন, মো. রেজাউল করিম রেজা, মাহবুবুর রহমান খান, মো. রবিউল আলম সৈকত, নজরুল ইসলাম ছোটন, রেদোয়ান আহমেদ রানজিব, মো. মাহমুদ হাসান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনিসুর রহমান ও খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনান।
যাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, আব্দুল কাইয়ুম ও উজ্জ্বল হোসেন।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের দণ্ড ও তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং এতে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর
আইনজীবী সমিতিতে ভাঙচুর অনাকাঙ্ক্ষিত: হাই কোর্ট
অপরদিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে দুপক্ষের মিছিল মুখোমুখি হয়। পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের মধ্যে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে একদল আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের কক্ষ ভাঙচুর করেন এবং সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের নামফলক খুলে ফেলেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিকুল্লাহ বাদী হয়ে বিএনপিপন্থি ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।