এই মামলায় গত ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
Published : 20 Jun 2023, 05:29 PM
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যামামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদারসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং পলাতক নয়জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল ও আশরাফ।
প্রসিকিউশন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ অগাস্ট দিন রেখেছে আদালত।
এছাড়া বিচারক তিনজনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এরা হলেন তৌফিক হাসান, আরিফুল ইসলাম, মশিউর রহমান।
আসামি রাকিবুর রহমান রাকিব ও মোরশেদুল আলম পলাশের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। হাই কোর্ট থেকে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা জামিনে আছেন।
অভিযোগপত্র গ্রহণের সময় আসামিপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়েরসহ আরো কয়েকজন।
এই মামলায় গত ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, বিদেশে পলাতক দুই সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিক, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য কাইল্যা পলাশ, একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ‘ঘাতক’ সোহেল, সুমন শিকদার মুসা, মুসার ভাগনে সৈকত, মুসার ভাতিজা শিকদার আকাশ, ইমরান হোসেন জিতু, মোল্লা শামীম, রাকিব, বিডি বাবু, ওমর ফারুক, ‘কিলার’ নাসির, রিফাত, ইশতিয়াক হোসেন জিতু, মাহবুবুর রহমান টিটু, হাফিজ, মাসুম ও রানা মোল্লা।
টিপু-প্রীতি হত্যামামলার অভিযোগপত্র আদালতে
তাদের মধ্যে ২৪ জনই গ্রেফতার হয়েছেন। এ হত্যা মামলায় মুসা, শুটার আকাশ ও নাসির উদ্দিন মানিক স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাতে খিলগাঁও রেলগেইটের কাছে আক্রান্ত হয় টিপুর গাড়ি। মোটর সাইকেলে আসা এক ব্যক্তি যানজটে আটকে পড়া টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে গুলি করে। হামলাকারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে সে সময় গাড়ির পাশে রিকশার আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতিও মারা যান।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।