আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা পেতে জলাশয় সংরক্ষণের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার প্রস্তাব এসেছে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গোল টেবিল বৈঠকে।
বুধবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে ‘অগ্নি দুর্ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের করণীয়’ বিষয়ক এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের শিক্ষক, স্থপতি, ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ঢাকাসহ সারাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তার তালিকা অনলাইনে প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব।
নির্দিষ্ট ভবনের সামনে সেই তালিকা প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করতে হবে বলে মত দেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের আইনগত অসামঞ্জস্য-বিরোধ সমন্বয় করে নিয়মিত এবং স্থায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় জোর দেন।
আরেক সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান বলেন, শহরকেন্দ্রিক স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণসহ দুর্ঘটনার ধরনভেদে ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল টিম তৈরি করা জরুরি।
অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার কোড তৈরি করার পরামর্শও দেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জিল্লুর রহমান বৈঠকে ঘণবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে হাইড্রেন্ট লাইন বসানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রাজউক থেকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নিয়ে যদি অকুপেন্সি পরিবর্তন করে তাহলে তা ফায়ার সার্ভিসকে জানাতে হবে- এমন বিধান তৈরি করা জরুরি।
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, অগ্নি নির্বাপণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে শহরের জলাশয় ও পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে।
ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (ইসাব) সভাপতি নিয়াজ উদ্দিন চিশতী অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম মানসম্মত কিনা তা যাচাই করার উপর গুরুত্ব দেন।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন।