পলাতক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
Published : 02 Oct 2022, 06:28 PM
দেড় দশক আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাই কোর্ট।
এছাড়া পলাতক দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে আদালত।
ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানির পর বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।
জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আতাউল হামিদ পরাগ ওরফে সোহরাওয়ার্দী, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গোলজার হোসেন ও মো. শাহীনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী এস এম শাহজাহান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাসুদ রানা, মাহবুবুর রহমান, উম্মে সালমা।
পরে আইনজীবী মাসুম রানা বিডিনিজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারিক আদালতে ছয় আসামির মধ্যে চার জনের মৃত্যুদণ্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন করাদণ্ড হয়েছিল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
“আজ হাই কোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার জনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। বাকি পলাতক দুই জনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছে।”
সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন। এর দুই দিন বাদে ২০ জুন স্থানীয় আটবাড়ি আলমদি এলাকার একটি কাঁচা রাস্তার পাশে একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর ওইদিনই নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০০৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে ওই ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরের বছর ২৬ এপ্রিল ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার এ মামলার রায়ে চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স আকারে নথি আসে হাই কোর্টে, পাশাপাশি আসামিরা দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ করে রোববার রায় দিল উচ্চ আদালত।