দুটি ছেলে রয়েছে এই দম্পতির।
Published : 10 May 2023, 07:56 PM
পাঁচ বছর আগে ঢাকার কদমতলীতে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপী বুধবার এ রায় দেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আরিফ হোসাইন তালুকদার জানান।
আসামি রিপন গাজীকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি রিপন গাজীর সঙ্গে শিউলী আক্তারের বিয়ে। পরে তাদের দুটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু ২০১২ সালের ১২ জুলাই রিপন দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর তিনি শিউলীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকেন।
যৌতুক হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দেয়ার পর আরও এক লাখ টাকার জন্য শিউলীকে নির্যাতন শুরু করেন রিপন। এ নিয়ে ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই শিউলী কদমতলী থানায় রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
রিপন তখন শিউলীকে তালাক দিলে তিনি তিন বছর তার বাবার বাসায় থাকেন। পরে ছেলেদের কথা চিন্তা করে আবার রিপনকে বিয়ে করে আলাদা বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর রিপন যৌতুকের জন্য শিউলীকে আবারও মারধর শুরু করেন।
২০১৮ সালের ৬ মার্চ তাদের দুই ছেলে ছোট খালার বাসায় যায়। পরদিন তারা বাসায় গিয়ে তাদের মা শিউলীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তখন তাদের বাবা বাসায় ছিলেন না।
এ ঘটনায় পরের দিন রিপন ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে আসামি করে যৌতুকের জন্য মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করেন শিউলীর বাবা মনির হোসেন।
তদন্ত শেষে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক লিটন মিয়া ২০১৮ সালের ৩০ জুন রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ হয় আদালতে।
মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য নিয়ে পাঁচ বছর পর এই রায় এল।