দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার সুযোগ দেওয়ার প্রাথমিক কাজ গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে এ পদ্ধতি কার্যকর করা যাবে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, কোন পদ্ধতিতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে, তাও ঠিক করা হয়েছে।
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে পাঁচ সিটির ভোট হচ্ছে। এছাড়া সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের কিছু নির্বাচনও রয়েছে।
সামনে ঢাকা-১৭ আসনের উপ নির্বাচন রয়েছে। শিগগির এ আসনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে এ উপ নির্বাচনেই অনলাইনে মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, “প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা আমাদের। কমিশন সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বস্মত সিদ্ধান্ত এলেই তা দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমার সময় মিছিল, প্রতিপক্ষকে বাধা দেওয়াসহ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা রোধ হবে অনলাইন মনোনয়নপত্র দেওয়ার বিষয়টি চালু করলে। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের সময় এবং ব্যয় দুটোই কম হবে।
প্রথমে উপ নির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচনে এ কার্যক্রম শুরু করে জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হবে। স্বশরীরে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচন অফিসে যেতে হবে না; সরাসরি কোনো কাগজপত্রও জমা দিতে হবে না। এতে করে মনোনয়ন দাখিল, গ্রহণ ও বাছাই প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর হবে।
যেভাবে চলবে কাজ
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রেজিস্ট্রেশন লিংকে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
এক্ষেত্রে এনআইডি যাচাই এবং চেহারা শনাক্ত করা হবে। নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে।
পর্যায়ক্রমে প্রার্থী মনোনয়ন, প্রার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য, প্রার্থীর হলফনামা ও প্রার্থীর ফাইল সংযুক্তকরণ ধাপ এবং জামানত দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলে মোবাইলে বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
পুরো প্রক্রিয়াটিই প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতির ফরম পূরণের মতো থাকবে; শুধু জমার কাজটি হবে অনলাইনে।