জাতীয় নির্বাচনেও অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ দিতে সুপারিশ

একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, বিশেষ সফটওয়্যারে অভিযোগ গ্রহণ ও নির্বাচনী ব্যয় তদারকিসহ ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে একগুচ্ছ প্রস্তাব রেখেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

মঈনুল হক চৌধুরীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2017, 05:03 AM
Updated : 15 May 2017, 05:03 AM

প্রস্তাবিত রোডম্যাপেই নির্বাচন কমিশনের জন্য এসব সুপারিশ রাখা হয়েছে বলে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে জাতীয় নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

রোববার কমিশনের কাছে রোডমাপের যে খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে ভোট ব্যবস্থাপনা ও তদারকিতে ‘প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সহায়তা নিয়ে’ আরও একগুচ্ছ সুপারিশ রাখা হয়েছে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “অন্তত ছয়টি সুপারিশ রয়েছে আমাদের। এর মধ্যে অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা, অভিযোগ নিতে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার, ইলেট্রনিক বা ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা, ভোটারদের তথ্য সরবরাহ এবং ব্যয় তদারকির বিষয়গুলো রয়েছে।”

আগামী ২৩ মে নির্বাচন কমিশনের সভায় এই রোডম্যাপ অনুমোদনের জন্য তোলা হবে বলে মোখলেসুর রহমান জানান।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নির্বাচনী ব্যয় তদারকির জন্য আলাদা কমিটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।

ভোটের সময় অভিযোগ নেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যে কোনো সময় এসএমএসে অভিযোগ সংগ্রহ করা যাবে।

আর রাজধানীর গুলিস্থান, মৌচাক, শাহবাগ, ফার্মগেইটের মত গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ডিজিটাল মনিটরে ফল প্রকাশ করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

চার কমিটি

ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, কমিশনের আগামী দিনের কাজগুলো ধরে চার নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করা হয়েছে। নির্বাচনী আইন সংস্কার, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ইসি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে এসব কমিটি কাজ করবে।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এর তদারকি করবেন।

ইসি কর্মকর্তা জানান, রোডম্যাপে কমপক্ষে সাতটি বিষয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা ও মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্র এবং ইভিএমের জন্য প্রস্তুতি।