উত্তরী হাওয়ায় হিম হিম ভাব থাকবে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিরও আভাস রয়েছে।
Published : 06 Feb 2024, 08:16 PM
সপ্তাহখানেক পর আসছে ফাল্গুন, প্রকৃতিতে চলছে পাতা ঝড়ার দিন। কয়েকদিন ধরে তুলনামূলক উষ্ণ প্রকৃতিও সেই কথা জানান দিচ্ছে। তবে বিদায়ের আগে ফের শীতের অনুভূতি বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীত বিদায়ের আগে উত্তরী হাওয়ায় হিম হিম ভাব থাকবে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি ও নদী অববাহিকায় থাকবে কুয়াশার দাপট। এর সপ্তাহখানেক পর তাপমাত্রা বাড়বে ধীরে ধীরে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালকের পর আর এই বৃষ্টি থাকবে না। তবে ৯-১০ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে শীত অনুভূত হবে।
“এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। আমরা সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসটাকে শীতকাল ধরি। শীত বিদায় নিতে এ মাসের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে।”
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়, ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে, ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মৌসুমে এর মধ্যে তিন দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। জানুয়ারির প্রথমার্ধে বিস্তীর্ণ জনপদে টানা কয়েক দিন মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করে। ২০ জানুয়ারি মৌসুমের সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
বাংলাদেশে শীতের মৌসুম সাধারণত ধরা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময় শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকে।
ঋতু পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে ‘আবহাওয়াগত’ সামান্য পরিবর্তনও থাকে। সপ্তাহখানেক পরে আসছে বসন্ত। তবে এর আগেই গাছে গাছে পাতা ঝরার দিন শুরু হয়ে গেছে। বসন্তের শুরুতে বিশেষ করে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টির প্রবণতা থাকে।