এ সম্মেলনকে সফল করতে ২৫ সদস্যের জাতীয় প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
Published : 14 Jul 2023, 12:03 AM
তৃতীয়বারের মতো এশিয়া-প্যাসিফিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ।
ঢাকায় আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে সংগঠটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে যেভাবে অস্ত্র ও যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে বৃহৎ শক্তিগুলো, তাতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, শান্তি, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বড় শক্তিগুলো এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও হস্তক্ষেপ করছে, যা দেশগুলোর গণতন্ত্র, জাতীয় স্বার্থ ও আত্মমর্যাদার জন্য হুমকি স্বরূপ।
“এ পরিস্থিতিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তিকামী শক্তি নিষ্ক্রিয় বসে থাকতে পারে না। বাংলাদেশও বিশ্বজুড়ে শান্তির সংগ্রামে এক অগ্রগামী নাম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৫ (গ) নং অনুচ্ছেদে সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগনের সংগ্রামকে সমর্থনের নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।”
এই বিবেচনাকে সামনে রেখে ঢাকায় এশিয়া-প্যাসিফিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সম্মেলনকে সফল করতে রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও নেতৃস্থানীয় নাগরিকদের সমন্বয়ে বুধবার ২৫ সদস্যের একটি জাতীয় প্রস্তুতি কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়েছে।
এতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুকে। কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি মাহফুজা খানম এবং রাজনীতিক রাশেদ খান মেননকে।
বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, রাজনীতিক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন অন্যদের মধ্যে কমিটিতে রয়েছেন। কমিটিতে সদস্য সচিব থাকছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারিক চৌধুরী।
এর আগে ১৯৭৩ ও ২০১২ সালে ঢাকায় এশিয়া-প্যাসিফিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২০১২ সালের সম্মেলনে শেখ হাসিনা ছিলেন প্রধান অতিথি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে ৪০টি দেশ থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সদস্য সংগঠনের নেতারা অংশ নেবেন।