চাল মেয়াদোত্তীর্ণ ও পোকায় কাটা। ডাল পচা, আটা ও তেল নষ্ট, মাংসও বহুদিন আগের, বলছিলেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন।
Published : 27 Aug 2022, 12:38 AM
'পচা' খাবার পরিবেশনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি জসীম উদ্দীন হলের ক্যান্টিন বন্ধ করে দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনার পর শিগগির ওই ক্যান্টিনে নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ করে মানসম্মত খাবার নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুর রশীদ।
এদিন দুপুরে হল ক্যান্টিনের সামনে একদল শিক্ষার্থী নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে ক্যান্টিনের রান্নাঘর থেকে আরও পচা মাছ-মাংস, নিম্নমানের চাল ও তরকারি উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়।
শিক্ষার্থীদের জেরার মুখে পচা চালের বস্তা দোকানদার ভুল করে দিয়ে গেছে বলে দাবি করেন ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক মোবারক হোসেন। পচা মাংসের প্যাকেটের বিষয়ে বলেন, “এটি কোনো শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখে গেছে।“
এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে মারতে তেড়ে গেলে ছাত্রলীগ নেতারা গিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ও হাউজ টিউটর মো. জহিরুল ইসলাম এসে খাবারের মান যাচাই-বাছাই করে আপাতত ক্যান্টিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে আমরা এসে দেখতে পাই, চাল মেয়াদোত্তীর্ণ ও পোকায় কাটা। ডাল পচা, আটা নষ্ট, তেল নষ্ট, মাংসও বহুদিন আগের। মাছ-মাংস, তরকারিগুলো হয়তো অনেক আগে ফ্রিজে রেখেছে তাই নষ্ট হয়ে পচে গেছে।
“এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই ছাত্রদের স্বার্থে আমরা হল প্রশাসনকে এর সুষ্ঠু সমাধান করার কথা বলেছি।"
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যান্টিনে যেসব খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল এগুলো একদমই মানহীন। এরকম পচা খাবার তো আমরা শিক্ষার্থীদের খাওয়াতে পারি না।
"খাবারের মানের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্টিন ব্যবস্থাপককে সতর্ক করা হচ্ছিল। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। তাই কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ করা হবে।“
হল প্রশাসন নিয়মিত ক্যান্টিন তদারকি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, পাশাপাশি ছাত্রদের মধ্য থেকেও একটি দল গঠন করে দেওয়া হবে, যাতে বিষয়টি সব সময় তদারকির মধ্যে থাকে।
শিক্ষার্থীদের জন্য আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে হলের দোকানগুলোতে খাবার বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।