গত ১৯ মার্চ ঘোষিত রায়ে হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে দুটি ধারায় সাত বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছে।
Published : 31 Mar 2024, 05:57 PM
হলমার্ক কেলেঙ্কারির মামলায় সাজার রায় শুনে পালিয়ে যাওয়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার আত্মসমর্পণ করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায় ঘোষণার ১২ দিন পর রোববার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ মো. আবুল কাশেমের আদালতে আইনজীবী কামাল হোসেনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে তিনি জামিন আবেদন করেছিলেন।
শুনানি নিয়ে বিচারক তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম।
গত ১৯ মার্চ হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির ১১ মামলার মধ্যে এক মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ আসে।
সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তাকে দুই ধারায় দেওয়া হয় ১৭ বছরের কারাদণ্ড।
মামলায় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছর ও আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচার চলাকালে একমাত্র আসামি হিসেবে জামিনে ছিলেন জামাল উদ্দিন। রায় ঘোষণার দিন তিনি শুনতে আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরায় স্বাক্ষরও করেন।
তবে রায় পড়ার মধ্যে তিনি কাউকে না বলে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিচারক তার জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
জামাল উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে একটি ভুয়া কোম্পানির নামে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছিলেন।
মহানগরী এলাকার বাইরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে এই লাইসেন্সে সই করেছিলেন তিনি। ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় । ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। এই অর্থ পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।