ফেইসবুকে যারা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, তারা একে ‘ইসরায়েলি ফ্লাইট’ বললেও আসলে সেটি যুক্তরষ্ট্রের একটি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ।
Published : 13 Apr 2024, 05:11 PM
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব থেকে দুটি সরাসরি ফ্লাইটের ঢাকায় অবতরণ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ধরনের আলোচনা চলছে, তাতে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ–বেবিচক।
ফেইসবুকে যারা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, তারা একে ‘ইসারয়েছিল ফ্লাইট’ বললেও আসলে উড়োজাহাজ দুটি ছিল যুক্তরষ্ট্রের একটি এয়ারলাইন্সের, ইসরায়েলি কোনো কোম্পানির নয়। ইসরায়েল থেকে কোনো কার্গোও আসেনি ওই উড়োজাহাজে।
শনিবার এক বিবৃতিতে বেবিচক বলেছে, “এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এরূপ সংবাদ পরিবেশনা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হল।”
ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও সরব। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনির মৃত্যুকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ চাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে তেল আবিব থেকে আসা দুটো উড়োজাহাজের ঢাকায় অবতরণের বিষয়টি একাধারে কৌতুহল ও নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় মুখর হন।
বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ এপ্রিল একটি উড়োজাহাজ তেল আবিব থেকে এসে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়ে সেদিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রওনা হয়।
দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি আসে গত ১১ এপ্রিল, ঈদের দিন। সেদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করার পর উড়োজাহাজটি রাত ১২টা ২৯ মিনিটে সেটি কার্গো নিয়ে ঢাকা ছেড়ে যায়।
বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের উড়োজাহাজগুলো কার্গো এয়ারক্রাফট, প্রতিটি প্রায় ১০৮ টন মালামাল বহন করতে পারে। দুটি উড়োজাহাজই যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এবং সেখানেই নিবন্ধিত। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরু করা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স অন-ডিমান্ড কার্গো এবং চার্টার্ড যাত্রীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করে।
বেবিচকের বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের একটি গন্তব্যে গিয়েছে।
“বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”