২০৩০ সাল পর্যন্ত সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটায় মানা, গেজেট প্রকাশ

আন্তর্জাতিক বন দিবসের প্রাক্কালে সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 March 2023, 01:13 PM
Updated : 20 March 2023, 01:13 PM

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশের সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আগেই ২০৩০ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে; যে সিদ্ধান্ত এখন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বন দিবসের আগে রোববার এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে গাছ কাটা ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

“এসময়ে বনাঞ্চলের কোর-জোন রক্ষার্থে বাফার জোন এলাকায় স্থানীয় দরিদ্র জনগণের সম্পৃক্ততায় পরিচালিত অংশীদারত্বভিত্তিক সামাজিক বনায়ন প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।”

মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর বর জানান, সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে দেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ এখন মোট আয়তনের ২২.৩৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের মধ্যে তা ২৪ শতাংশের বেশিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

২০২২ সালে অক্টোবরে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে গাছ কাটার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।

সেদিন তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের কোনো গাছ কাটা যাবে না। তবে ‘সোশাল ফরেস্টের’ গাছ কাটা যাবে।

যেসব গাছ কাটা যাবে সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলেছিলেন, “সোশাল ফরেস্ট হল যেমন কারও ব্যক্তিগত, রাস্তার পাশ দিয়ে যে বনায়ন বা ডিপ ফরেস্টের আগে একটা বাফার জোন থাকে। সেখানে স্থানীয় জনগণের সাথে জয়েন্ট বনায়ন হয়।”

২০৩০ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তিনি জানান, এটা হল একটা শিফট টাইম। প্রত্যেকটা টাইম ফ্রেম আছে। যেটা ৫ বছর বা ৭ বছর হয়ে থাকে। এবার ৫ বছর না করে ৮ বছরের জন্য চলে আসছে।

পরে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর রোববার তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হল। এরমধ্যেই আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন করা হবে মঙ্গলবার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- সুস্থ দেহে সুস্থ মন, যদি থাকে সমৃদ্ধ বন।

জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর জানান, অবৈধ জবরদখল উচ্ছেদের মাধ্যমে বনভূমি পুনরুদ্ধার ও তা সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে। সুন্দরবনের বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালের জাতীয় বন জরিপের তথ্যমতে সুন্দরবনে মোট কার্বন মজুদের পরিমাণ ১৩৯ মিলিয়ন টন, যেখানে ২০০৯ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে এর পরিমাণ ছিল ১০৭ মিলিয়ন টন।

Also Read: সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটা যাবে না ২০৩০ সাল পর্যন্ত

Also Read: বাড়ির গাছ কাটতেও লাগবে অনুমতি, আইন হচ্ছে

Also Read: বনের গাছ কাটা যাবে না আরও ৭ বছর