ভোট গোলযোগহীনভাবে শেষ হওয়ায় স্বস্তি ইসিতে।
Published : 21 Jun 2023, 05:57 PM
সংসদ নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্বিঘ্নে শেষ করতে পেরে স্বস্তি বোধ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বিএনপিসহ অধিকাংশ দলের বর্জনের মধ্যে এই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়েও অস্বস্তিতে নেই তিনি। তার মতে, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ৫০ শতাংশ ভোটার পাওয়াই যথেষ্ট।
পাঁচ সিটি নির্বাচনের শেষ ধাপে বুধবার রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। মেয়র পদে প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এই নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে আগে থেকে শঙ্কা ছিল।
ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকায় নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সামনে এসে সিইসি বলেন, তিনি যতদূর জেনেছেন রাজশাহীতে ৫২-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল। সিলেটে ভোটের হার হতে পারে ৪৬ শতাংশ।
“এটা জানতে পেরেছি; কম-বেশি হতে পারে, হেরফের হতে পারে।”
এ ধরনের নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়াটাই ‘গুড এনাফ’, বলেন তিনি।
“৬০-৭০% হলে তা এক্সিলেন্ট হবে,” বলেন হাবিবুল আউয়াল।
সিলেটে ২০০৮ সালে ভোট পড়ার হার ছিল ৭৫ শতাংশ। ২০১৩ সালে এ সিটিতে ভোট পড়ে ৬২ শতাংশ এবং ২০১৮ সালেও ভোটের হার ছিল প্রায় ৬৩ শতাংশ।
রাজশাহীতে ২০০৮ সালে ভোটের হার ছিল ৮১.৬১ শতাংশ। ২০১৩ এ সিটিতে ভোট পড়ে ৭৬.০৯ শতাংশ। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৭৮.৮৬ শতাংশ।
এবার আগের তিনটি সিটি নির্বাচনেও ভোটের হার ছিল ৫০ শতাংশের আশপাশে। ৪৮.৭৬ শতাংশ ভোটগ্রহণ হয় গাজীপুরে। বরিশালে ভোট দেয় ৫১ শতাংশ এবং খুলনায় ৪৮.১৭ শতাংশ।
ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে ইসির চেষ্টা থাকবে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চেষ্টা করে যাব, আপনারও সহায়তা করবেন।”
এদিন দুই সিটির সঙ্গে বাসাইল পৌরসভায় নির্বাচন ছিল।
সেখানে ‘আশানুরুপভাবে ভালো ভোট’ হয়েছে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “এটা ক্রিটিক্যাল প্লেস ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সেখানে ৭০% ভোট হয়েছে।”
সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে পাঁচ সিটি নির্বাচন নিরুত্তাপভাবে শেষ হলেও কোনো গোলযোগ না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, “আমরা সন্তুষ্ট বোধ করছি। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা অবাধে, নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিয়েছেন। কোথাও কোনো বাধা পেয়েছে বলে শুনিনি, তথ্য পাইনি। কাজেই সার্বিকভাবে আজকের নির্বাচনগুলো ভালো হয়েছে।”
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা দিনভর ভোট পর্যবেক্ষণ করেন নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় চোখ রেখে।
সিটি নির্বাচনের প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে বলে মনে করেন সিইসি।
তিনি বলেন, “এ নির্বাচনগুলো ভালো হয়েছে। এটা আমরা বিশ্বাস করি, জাতীয় নির্বাচনটাকে, যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটাতে ভোটাররা খুব উৎসাহিত হবেন যে ভোট উৎসবমুখর মুখর হতে পারে। সেখানে ভোটাররা আগ্রাহান্বিত হবেন ভোটকেন্দ্রে যেতে; সেটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক দিক। ভবিষ্যতেরটা আমরা ভবিষ্যতে দেখব, তবে আমরা আশাবাদী।”