ফারদিন হত্যা: বান্ধবীকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

মামলার এজাহারে বাবা লিখেছেন, “আমার পুত্র ফারদিন নূর পরশের নিখোঁজ ও মৃত্যুতে আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।”

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2022, 07:36 AM
Updated : 10 Nov 2022, 07:36 AM

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।

রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরশ হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে বুশরাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছি।

“রিমান্ডে পেলে পরশ হত্যা বা নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য জানার চেষ্টা করব তার কাছ থেকে।”

তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ৷

তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন; পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ফারদিনের ময়নাতদন্ত হয়। পরে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিন নূর পরশকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে।

এরপর ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেখানে আসামি করা হয় ছেলের বান্ধবী বুশরাকে।

মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম জানান, হত্যার অভিযোগে ৩০২/ ৩০১ এবং ৩৪ ধারায় ওই মামলা করেছেন ফারদিনের বাবা।

মামলার খবর আসার পরপরই বুশরাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কথা বলেছিলেন রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। পরে তিনি জানান, ওই মামলায় বুশরাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন তারা।

কেন ছেলের বান্ধবীকে সন্দেহ করছেন জানতে চাইলে নূরউদ্দিন রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বুশরা নামের মেয়েটা ঢাকার ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। ঘটনার দিন বিকাল থেকে আমার ছেলে ওই মেয়ের সঙ্গেই ছিল। তাদের সম্পর্ক প্রায় পাঁচ বছরের, বিতর্ক করতে গিয়ে পরিচয়। কিন্তু আমার ছেলের মৃত্যুতে সে ভেঙে পড়ে নাই।”

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর পরশ বাসা থেকে বের হওয়ার পর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বুশরার সাথে সময় কাটিয়েছেন। সিটি কলেজ এলাকায় তারা মিলিত হন, পরে নীলক্ষেত, ধানমণ্ডি এলাকায় ঘুরে বেড়ান এবং বিকাল ৫টায় সাত মসজিদ রোডের একটি রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান।

Also Read: ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী আটক

রাত ১০টার দিকে ফারদিন রিকশায় করে বুশরাকে নিয়ে রামপুরা টিভি ভবন এলাকায় পৌঁছান। ওই এলাকার কাছেই বুশরা একটি মেসে থাকেন।

তিন দিন পর ফারদিনের লাশ পাওয়ার কথা জানিয়ে মামলায় তার বাবা লিখেছেন, “পরশকে ৪ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার পর হতে ৭ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে যে কোনো সময় রামপুরা থানাধীন উক্ত স্থানে বা অন্য কোথাও হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার পুত্র ফারদিন নূর পরশের নিখোঁজ ও মৃত্যুতে আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।”