নগর পরিবহনে অদৃশ্য খরচ কমানোর দাবি

কোনো কোনো ই টিকেটে শুধু ভাড়ার অঙ্ক লেখা রয়েছে। যাত্রা, গন্তব্য, বাসের নাম ও নম্বর নেই, যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের দাবি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2022, 01:16 PM
Updated : 24 Nov 2022, 01:16 PM

ঢাকায় বাসের ই টিকেটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। পাশাপাশি বিভিন্ন রুটে অদৃশ্য খরচ বন্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঢাকা সিটিবাস সার্ভিসে ই টিকিটিং: যাত্রীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভায় আধুনিক গণপরিবহন সেবায় ই টিকেটিং ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তারা বলেন, পরিবহন খাতে দীর্ঘদিনের জমে থাকা সমস্যার সমাধান ও আমূল সংস্কার করা না গেলে ই টিকেটিং সিস্টেমে সিটিবাস সেবা চালু রাখা সম্ভব হবে না।

রাজধানীর গণপরিবহনে ই টিকেটিং সেবা চালু করায় পরিবহন মালিকদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

পরীক্ষামূলকভাবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আটটি কোম্পানির বাসে চালু হয় ই টিকেটিং। পরে গত ১৩ নভেম্বর আরও ৩০ রুটের বাসে এ পদ্ধতিতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া শুরু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

Also Read: ই-টিকেটেও অতিরিক্ত ভাড়া, ইচ্ছেমত যাত্রী তোলার অভিযোগ

Also Read: রাজধানীতে বাস ভাড়ায় পরীক্ষামূলক ই-টিকেট চালু

Also Read: বাসে ই-টিকেট: ভাড়া নিয়ে ‘ক্যাচাল’ নেই, হুড়োহুড়ি আগের মতই

বৃহস্পতিবার আলোচনা সভায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, প্রতিটি টিকিটে বাসের নাম ও নিবন্ধন নম্বর, যাত্রা শুরু ও গন্তব্যের নাম, দূরত্ব, ভাড়ার পরিমাণ, তারিখ, অভিযোগ কেন্দ্রের নম্বর থাকার কথা। কিন্তু তা থাকছে না।

তার অভিযোগ, “বর্তমানে প্রদত্ত ই টিকেটিং ব্যবস্থায় এসব পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই। কোনো কোনো টিকিটে শুধুমাত্র ভাড়ার অঙ্ক লেখা রয়েছে। যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, বাসের নাম ও নম্বর নেই, ফলে এসব টিকিট দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে যাত্রীদের প্রতিকার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।”

গণপরিবহনে ‘অদৃশ্য খাতের রুট খরচ বন্ধ করতে না পারলে লোকসান দিয়ে বাস চালাতে হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যানজট, চাদাঁবাজিসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ সিটি সার্ভিসের বাস খাতে নতুন বিনিয়োগ আসছে না। ফলে লোকসানের কারণে এ খাত আগামী দিনে গভীর সংকটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।”

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি তাওহিদুল হক লিটনের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, বিআরটিএর ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক স্বদেশ কুমার দাশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ বক্তব্য রাখেন।