কাপ্তাই লেকের ভেতরে নির্মিত সব ধরনের অবকাঠামো উচ্ছেদের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না– তা জানতে রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট।
Published : 17 Oct 2022, 04:30 PM
কাপ্তাই লেকে মাটি ভরাট, দখল ও সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে ‘অবৈধ দখলদারদের’ তালিকা জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
এ আদেশ বাস্তবায়ন করে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাঙামাটি সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাঙামাটির সদর পৌরসভার মেয়র, বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক, রাঙামাটি সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি), রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সেইসঙ্গে কাপ্তাইয়ের দখলদারদের চিহ্নিত করতে একটি জরিপ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। ৩০ দিনের মধ্যে দখলদারদের তালিকাসহ জরিপ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কাপ্তাই লেকের ভেতরে নির্মিত সব ধরনের অবকাঠামো/স্থাপনা/ড্যাম ধ্বংস কিংবা উচ্ছেদের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না– তা জানতে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
কাপ্তাই লেকের সকল ধরনের দখল, ভরাট, ড্যাম, স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা অপসারণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পরিবেশ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, রাঙামাটি সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাঙামাটির সদর পৌরসভার মেয়র, বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক, রাঙামাটি সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি), রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এবং অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ রোববার এ রিট আবেদনটি করেন। আদালতে রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকারপক্ষে ছিলেন মঈনুল হাসান।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, “সেখানে প্রশাসন আছে কাপ্তাই লেক সংরক্ষণের জন্য। আশ্চর্যজনক হল, প্রশাসনের কিছু লোকও সেখানে দখল করে ভবন বানিয়েছে। এ জন্য আমরা আদালতের কাছে এসেছি।
“তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওইসব স্থাপনাও যাতে ভাঙা হয়, কারণ নদী দখল, জলাশয় দখল করা আইনে নিষেধ। আপনি প্রশাসন হন, এমপি হন, আর মেয়র হন… সব জায়গায় আমরা দেখেছি, প্রভাবশালীরা এই কাজগুলো বেশি করছে।”
এই আইনজীবী বলেন, “সীমানা ধরে কাপ্তাই হৃদ সংরক্ষণ করা হলে এটা রক্ষা হবে। কিন্তু এর উপর অনেক আক্রমণ হয়েছে। দখল বাণিজ্য, ভরাট করে এটাকে মৃতপ্রায় অবস্থা করে ফেলা হয়েছে।”